দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সামনেই দুর্গাপুজো। লম্বা ছুটি। বহু ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যান এই সময়। হাতে কম সময় থাকলে কারওকারও গন্তব্য হয় সুন্দরবনও। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ অরণ্যের সাক্ষী থাকেন পর্যটকরা। আর তার আগেই ভালো খবর। ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে কুমিরের সংখ্যা। গত দু’বছরে কুমির গণনার রিপোর্টে এমনটাই দেখা গিয়েছে বলে দাবি সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকদের। গত শনিবার ব্যাঘ্র দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই একথা জানান বন আধিকারিকরা।
সজনেখালি ব্যাঘ্র প্রকল্পের কার্যালয়ে ‘টাইগার রামবেলস’ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বন বিভাগের মুখ্য সচিব দেবল রায়, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা রাজেন্দ্র ঝাখের, জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অনিমেষ মণ্ডল, জেলা পরিষদের বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ মুক্তার শেখ সহ ৪ টি অঞ্চলের প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যরা। ওই অনুষ্ঠানে কুমির গণনার আনুমানিক রিপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন আধিকারিকরা। আর সেই আলোচনাতেই আধিকারিক কুমিরের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হয়।
পাশাপাশি পরবর্তী পর্যায়ে কুমির গণনার কাজে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলা হয়। একই সঙ্গে ব্যাঘ্র এলাকায় কুমিরের সংখ্যা আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়। অনুষ্ঠান শেষে জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অনিমেষ মণ্ডল জানান, ”কুমির গণনার কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” ওই বন আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন ”গত দু বছর ধরে কুমির গণনার কাজ চলছে। আগামী বছরও হবে। তারপর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। তবে ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ এই দুই বছরে সুন্দরবনের ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় কুমিরের সংখ্যা বেড়েছে।”
জানা গেছে ২০২২-২৩ সালের গণনায় মোটামুটি ১১০-১৩২ এবং ২০২৩-২৪ সালের গণনায় মোটামুটি ১২০-১৪০ টার মতো কুমির দেখা গিয়েছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায়। এবার ২০২৫-২৬ সালের গণনার পর এই তিন বছরের কুমির গণনার রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। আর তাতে আরও স্পষ্ট হবে যে গত তিন বছরে ঠিক কত কুমিরের সংখ্যা বেড়েছে।