সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হতেই সীমান্ত সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল ভারত ও চিন দুই দেশ। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে ঠিক হয়, দুই দেশ সীমান্ত সমস্যা নিয়ে অবিলম্বে ‘যুক্তিসঙ্গত ও পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য’ সমাধান বের করতে উদ্যোগী হবে।
বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন ভারত-চিন সম্পর্কের স্থায়ী অগ্রগতি হচ্ছে। পারস্পারিক শ্রদ্ধার জোরেই সেটা সম্ভব হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সীমান্ত সমস্যার ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে দুই দেশের তরফে বিশেষজ্ঞ একটি কমিটি গঠন করা হবে। কীভাবে দুই দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা মেটানো যায়, সেটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দেবে ওই কমিটি।
কৈলাস মানস সরোবর যাত্রীদের জন্যও সুখবর শুনিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, দুই দেশ অবিলম্বে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালুর ব্যাপারে সহমত হয়েছে। যার ফলে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রীদের আর ঘুরপথে তীর্থক্ষেত্রে যেতে হবে না। এদিনের বৈঠকেই আসন্ন সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন অর্থাৎ এসসিও সামিটে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণপত্র মোদির হাতে তুলে দেন ওয়াং ই। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সৌহার্দ্য দিল্লি-বেজিং শীর্ষ পর্যায়ের যোগাযোগ পুনরায় শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা চুরমার হয়ে গিয়েছিল গালওয়ান সংঘর্ষ-সহ সীমান্ত নিয়ে একাধিক দ্বন্দ্বে। এবারে তিন বছর পর ভারত সফরে এলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। অন্যদিকে আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর চিনের তাইনজিন শহরে সফর করবেন মোদি। মনে করা হচ্ছে, এভাবে দ্বিপাক্ষিক সফরে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। সেটারই প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া গেল।