সীমান্তে প্রত্যাঘাত করছে ভারতীর সেনা, উদ্বেগ সত্ত্বেও স্বামী, ছেলেদের জন্য গর্বিত পরিবার

সীমান্তে প্রত্যাঘাত করছে ভারতীর সেনা, উদ্বেগ সত্ত্বেও স্বামী, ছেলেদের জন্য গর্বিত পরিবার

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


কল‌্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহ। পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় ভারতের উপর হামলা চালাচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীও প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত। প্রয়োজনে প্রত্যাঘাত হচ্ছে বাহিনীর তরফে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সব ছুটি ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় রয়েছেন বাংলার একাধিক জওয়ান।

জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানের হামলার মোকাবিলা চালিয়ে যাচ্ছেন মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা ব্লকের কয়েকজন জওয়ান। সেই সেনা জওয়ানদের জন্য চিন্তা হলেও গর্বিত তাঁদের পরিবারের লোকজন। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের নির্বিচারে হত্যার ঘটনায় জঙ্গি দমনে নেমেছে ভারতীয় সেনা। সেই বাহিনীতে রয়েছে মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লকের গোঘাটা এলাকার হিন্দু- মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের বেশ কিছু যুবক। এলাকার একই পরিবারের দুই ভাই রবিউল শেখ ও মাহাবুল শেখ যেমন সেনাবাহিনীতে রয়েছেন, তেমনই এলাকার রাজ ঘোষ, বুদ্ধদেব ঘোষ, প্রসেনজিৎ ঘোষ, অমিতাভ ঘোষ, নবীন ঘোষ, বাবুসোনা ঘোষ, ছোট্টু ঘোষ, রাজদীপ ঘোষরাও ভারতের হয়ে প্রত্যাঘাত  চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই সেনাবাহিনীতে রয়েছেন এলাকার আনসার আলি মণ্ডলও।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারত-পাকিস্তানের আক্রমণ-পাল্টা জবাব দেখে চিন্তিত পরিবারের লোকজনরা। আশরাফোন বিবি জানান, তাঁর দুই ছেলে রবিউল ও মাহাবুল দেশের জন্য যুদ্ধ করছে। গত ১৫ দিন আগে এক ছেলে কাশ্মীরে গিয়েছে। অন্য ছেলে কয়েক মাস আগেই গিয়েছে কাজে যোগ দিতে। ছেলেদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। তবে খুবই চিন্তা হচ্ছে দুই ছেলের জন্য। কেন না কোথায় কী করছে, সেটা জানাচ্ছে না ছেলেরা। তবে তিনি গর্বিত নিজের দুই ছেলের জন্য। অন্যদিকে ওই এলাকার অণিমা ঘোষ বলেন, তাঁর ছেলে রাজ ঘোষ গত তিনদিন ধরে তাঁকে ফোন করেনি। শুধু ‘ভালো আছি মা’ বলে মেসেজ পাঠিয়েছে। ফলে ছেলের জন্য চিন্তিত তিনি। দেশে শান্তি ফিরে আসুক সেটাই তিনি চাইছেন। তবে একজন মা হিসেবে ছেলের জন্য গর্বিত তিনি। অন্যদিকে সেনা জওয়ান প্রসেনজিৎ ঘোষের স্ত্রী শীলু ঘোষ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তাঁর স্বামীর জন্য। তিনি জানান, আগে দেশ, তারপর পরিবার। তবে তাঁর স্বামী-সহ অন্যান্য জওয়ানরা প্রতিপক্ষকে দুরমুশ করে ফিরে আসুক। সেটাই তিনি চাইছেন। এলাকার অন্যান্য পরিবারের সদস্যরাও চাইছেন, তাঁদের সন্তান, স্বামীরা সুস্থ থাকুক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *