স্টাফ রিপোর্টার: নিকট ভবিষ্যতে কি কোনও ভাবে সিএবি প্রশাসনে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে সংস্থার প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে-র? এই মুহূর্তে না হলেও, মাস কয়েক পরে?
শনিবাসরীয় সিএবি-র বার্ষিক অনুষ্ঠান শেষে ময়দানের একাংশ কিন্তু প্রশ্নটা তুলছে। গতকাল বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে সিএবি-র বার্ষিক অনুষ্ঠান। এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ ধরলে, সেই অনুষ্ঠানে যথেষ্ট ‘বর্ণময়’ উপস্থিতি ছিল সিএবি-র প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষের। যিনি বছর কয়েক আগেও সিএবি-র শাসক-গোষ্ঠীর প্রবল বিরোধী হিসাবে পরিচিত মুখ ছিলেন স্থানীয় ক্রিকেটমহলে। কিন্তু সম্প্রতি দু’-একটা মিডিয়া সাক্ষাৎকার, সিএবি-র বার্ষিক অনুষ্ঠানে একেবারে সামনের সারিতে তাঁর বসে থাকা, পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে উঠে পুরস্কার দেওয়া সব দেখার পর কারও কারও মনে হচ্ছে, সিএবি-র শাসক-গোষ্ঠীর বেশ ‘কাছাকাছি’ চলে এসেছেন বিশ্বরূপ। যার পর ময়দানি ঔৎসুক্য, অদূর ভবিষ্যতে প্রাক্তন সিএবি কোষাধ্যক্ষ কি তা হলে ফিরতে চাইছেন বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থায়? তিনি কি ‘উদ্যোগী’ হয়েছেন ক্রিকেট প্রশাসনে ফিরতে? তাঁর ঘনিষ্ঠ কেউ কেউ কিন্তু প্রকাশ্যেই লিখেছেন, বঙ্গ ক্রিকেটের উন্নতিতে বিশ্বরূপকেও দরকার।
যদিও এখনই কিছু হচ্ছে না। কারণ, লোধা আইনের গেরোয় পড়ে ক্রিকেট প্রশাসন থেকে সরে যেতে হয়েছিল বিশ্বরূপকে। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় তাঁর ন’বছর পূর্ণ হয়ে যাওয়ায়। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া বিল আইন হয়ে যাওয়ার পর অনেক পুরনো প্রশাসকরাই নতুন করে ‘প্রাণ’ ফিরে পাচ্ছেন (ন’বছরের নিয়মের ‘গেরো’-ই উঠে যাচ্ছে)। তাঁরা ফিরতে পারেন। প্রশাসক হতেও পারেন। শুধু এ মুহূর্তে নয়। কারণ এখনও ক্রীড়া আইন অনুপাতে বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার নতুন নিয়ম-নীতি কী হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি। ভারতীয় বোর্ডই যেমন এখনও পর্যন্ত ঠিক করে উঠতে পারেনি, তারা নির্বাচন করবে কবে? অথচ প্রথা অনুযায়ী, বোর্ড এবং তার সমস্ত রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় সেপ্টেম্বরে নির্বাচন হয়। মাঝে বোর্ড নির্বাচন সাময়িক পিছনো নিয়ে রাজ্য সংস্থাদের একটা বেসরকারি বার্তা দিয়েছে বটে। কিন্তু সব কিছু ঠিকঠাক চললে, সিএবি আপাতত লোধা আইন অনুযায়ী নির্বাচন আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সম্পন্ন করে ফেলার দিকেই বুঝুঁকে। লোধা আইনে নির্বাচন হলে এখন পদাধিকারী হতে পারবেন না বিশ্বরূপ। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া আইন মেনে যখন ফের নির্বাচন হবে (ক্রীড়ামন্ত্রক তেমনই বার্তা দিয়েছে), তখন অবশ্যই পদপ্রার্থী হতে পারবেন তিনি।
তবে ময়দানের একাংশের আগ্রহ হল, সে ‘লক্ষ্যে’ কি এখন থেকেই নেমে পড়েছেন প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ? সত্য-মিথ্যা জানা নেই। কিন্তু ময়দানের কারও কারও কাছে খবর, তিনি নাকি অদূর ভবিষ্যতে সিএবি সচিব হতে ‘আগ্রহী’। এঁরা জানতে চান, সেক্ষেত্রে শাসক গোষ্ঠী কী করবে? তারা কি ‘পুরনো সব’ ভুলে সমান আগ্রহ দেখাবে (দুপক্ষের ‘ঘনিষ্ঠতা’ এ মুহূর্তে যথেষ্ট দৃশ্যমান)? সময়ই উত্তর দেবে। তবে শনিবারের সিএবি অনুষ্ঠান দেখে উপস্থিত কেউ কেউ রসিকতা করে বললেন যে, ময়দান ফের দেখিয়ে দিল, এখানে কোনও কিছুই ‘স্ট্যাটিক’ নয়। না সমীকরণ, না সম্পর্ক!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন