সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ও বায়ুসেনা ঘাঁটিতে সফল হামলা চালিয়ে পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করেছিল ইজরায়েলের র্যাম্পেজ মিসাইল। এবার বিপুল সংখ্যায় সেই মিসাইল কিনতে চলেছে দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগ। আকাশ থেকে মাটিতে হামলা চালিয়ে শত্রুর কোমর ভেঙে দেওয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় বায়ুসেনায় হাই স্পিড লো ড্র্যাগ-মার্ক২ ক্ষেপণাস্ত্র নামে পরিচিত। যা সুখোই ৩০, জাগুয়ার এবং মিগ ২৯ যুদ্ধবিমানে সঙ্গে যুক্ত।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানা যাচ্ছে, জরুরি ভিত্তিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে সরকার। প্রচুর পরিমাণে এই ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। শীঘ্রই এই ইজরায়েলের থেকে এই অস্ত্র কেনার অর্ডার দেবে সরকার। দ্রুত গতিতে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে। জানা যাচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন অন্যান্য অস্ত্রের পাশাপাশি এই র্যাম্পেজও ব্যবহার করেছিল ভারত। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে ও বাহাওয়ালপুরে জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছিল ক্ষেপণাস্ত্রটি। সুখোই-৩০ এমকেআই ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ছোড়া হয়েছিল এটি।
র্যাম্পেজ সম্পর্কে সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র হল অত্যন্ত উচ্চগতির বায়ু থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। ২০২০-২১ সালে গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সঙ্গে সংঘাতের সময়ে ইজরায়েলের থেকে এই অস্ত্র কিনেছিল সরকার। তবে তখন এই অস্ত্র ব্যবহৃত না হলেও অপারেশন সিঁদুরে এই মারণ ক্ষমতা চাক্ষুষ করেছে গোটা বিশ্ব। দেশের বায়ুসেনার বিমানগুলিতে এই অস্ত্রের যাতে পর্যাপ্ত যোগান থাকে তা মাথায় রেখেই নতুন করে বড় সংখ্যায় অর্ডারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অন্যান্য বিমানবহরগুলিতে যাতে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যায় সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে র্যাম্পেজ ক্ষেপণাস্ত্রের স্থানীয় উৎপাদনের বিষয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে বলে খবর।