সাদ্দামের মতোই খামেনেইয়ের নিয়তিও ফাঁসির মঞ্চ! এবার সরাসরি হুঁশিয়ারি ইজরায়েলের

সাদ্দামের মতোই খামেনেইয়ের নিয়তিও ফাঁসির মঞ্চ! এবার সরাসরি হুঁশিয়ারি ইজরায়েলের

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের পরিণতি হবে সাদ্দাম হোসেনের মতোই! এবার একেবারে স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে দিল ইজরায়েল। সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ নাম না করে খামেনেইকে হুঁশিয়ারির সুরে বলে দিলেন, “প্রতিবেশী দেশের স্বৈরাচারী শাসকের পরিণতি যেন না ভোলে ইরান।”

মঙ্গলবার কাটজ একেবারে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন, “ইরানের স্বৈরশাসকরা যদি যুদ্ধাপরাধ বন্ধ না করে আর ইজরায়েলের সাধারণ জনগণনের উপর হামলা বন্ধ না হয়, তাহলে ইরানের স্বৈরশাসকের অবস্থাও প্রতিবেশী দেশের স্বৈরশাসকের মতোই হবে।” কাটজের বক্তব্য, ইজরায়েল শুধু ইরানের সেনাঘাঁটি এবং পরমাণূ গবেষণা কেন্দ্রগুলিকে নিশানা করছে। তেহেরানের সাধারণ নাগরিকদের উদ্দেশে ওই এলাকার আশপাশের জনবসতি খালি করে দেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, ইজরায়েলের নিরীহ নাগরিকদের উপর হামলা চালিয়ে যুদ্ধাপরাধ করছে ইরান। আর সেটার শাস্তি হিসাবে খামেনেইয়ের পরিণতি হবে সাদ্দাম হোসেনের মতো।

সাদ্দাম হোসেন, ইরাকের চার দশকের শাসক। ২০০৩ সালে সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত করে আমেরিকা। ২০০৬ সালে গণহত্যার অভিযোগে সাদ্দামকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয় মার্কিন মদতপুষ্ট সরকার। মৃত্যুর আগে সাদ্দামকে ইরাকের এ প্রান্ত থেকে অপ্রান্ত প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছিল। ইজরায়েলের হুঁশিয়ারি, খামেনেইয়ের পরিণতিও তেমনই হবে। উল্লেখ্য, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, খামেনেইয়ের মৃত্যু হলে তবেই থামবে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ। একইসঙ্গে খামেনেই-এর মৃত্যুর ষড়যন্ত্রে ট্রাম্প ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বলে যে দাবি উঠেছে তাও পুরোপুরি খারিজ করে দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, খামেনেইকে নিকেশ করাই কি এই মুহূর্তে ইজরায়েলের মূল উদ্দেশ্য?

গত শুক্রবার ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয় ইজরায়েলের তরফে। এই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তাদের একযোগে হত্যা করা হয়। এই তালিকায় ছিলেন, ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি, ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডার-সহ একাধিক শীর্ষ সেনা আধিকারিক। পাশাপাশি ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে নিখুঁত পরিকল্পনায় হত্যা করে ইজরায়েল। এই হামলার পালটা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনেই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা করেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *