বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বিহারে ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন ও বিয়োজন নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। সংসদ ও সংসদের বাইরে তালিকা সংশোধন বাতিলের দাবিতে একজোট হয়ে লড়াই করছে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু খসড়া তালিকায় সংযোজন বিয়োজন নিয়ে অভিযোগ জানানোর সুযোগ থাকার পরেও সাতদিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের তরফে একটিও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে দাবি করল নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ভোটার তালিকায় নাম তুলতে কমিশনের চাহিদা মতো কাগজপত্র থাকা সত্বেও নাম ওঠেনি অথবা বাদ গিয়েছে এমন কোনও অভিযোগ রাজনৈতিক দলগুলি করতে পারেনি। যদিও অভিযোগ জানানোর জন্য এখনও তেইশ দিন সময় রয়েছে। কতগুলি অভিযোগ জমা পড়ছে প্রতিদিন সেই তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কারণ ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় বিএলওদের পাশাপাশি প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে তাদের এজেন্ট দেওয়ার কথা বলেছিল কমিশন। কোন দল কতো এজেন্ট দিতে পেরেছিল সেই তালিকাও প্রকাশ করা হচ্ছে।
গত ১ আগস্ট বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। কমিশন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, ওই খসড়া তালিকা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে, তা কমিশনকে জানানো যাবে। তবে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দল থেকেই অভিযোগ আসেনি বলে জানিয়েছে তারা। কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই বুথ লেভেল এজেন্ট (বিএলএ) রয়েছেন। কোন রাজনৈতিক দলের কত জন বিএলএ আছেন, সেই তথ্যও প্রকাশ করেছে কমিশন। বিহারে কমিশনের এই কাজের জন্য কংগ্রেসের ১৭,৫৪৯ জন বিএলএ রয়েছেন। আরজেডি-র রয়েছেন ৪৭,৫০৬ জন বিএলও। একই রকম ভাবে বিজেপির ৫৩ হাজারের বেশি এবং জেডিইউয়ের প্রায় সাড়ে ৩৬ হাজার বিএলএ রয়েছেন। আঞ্চলিক এবং জাতীয় দলগুলি মিলিয়ে বিহারে মোট ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৮১৩ জন বিএলও আছেন। তবে শাসক বা বিরোধী কোনও পক্ষ থেকেই কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। যদিও ব্যক্তিগত স্তরে ভোটারদের তরফে ৬,২৫৭টি অভিযোগ গিয়েছে কমিশনের কাছে। গত এক সপ্তাহে সেগুলির কোনওটিরই নিষ্পত্তি হয়নি।
বস্তুত, বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ৬৫ লক্ষের বেশি নাম। কমিশন ইতিমধ্যে জানিয়েছে, মৃত, স্থায়ী ভাবে অন্যত্র চলে যাওয়া ব্যক্তিদের এবং একাধিক ঠিকানার ভোটার তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ভোটার তালিকায় প্রায় ৭ কোটি ৯০ লক্ষ নাম ছিল। এসআইআর পর্বের পরে খসড়া তালিকায় তা কমে ৭ কোটি ২৪ লক্ষে নেমে এসেছে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।