মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয়েছিল প্রসূতির। কালবিলম্ব না করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল পরিবার। পরীক্ষা করে দেখা যায় গর্ভে তিন সন্তান রয়েছে। ভূমিষ্ট হওয়ার সময়ও হাতে আর বেশি বাকি নেই। ফলে দ্রুত ওই প্রসূতিকে লেবাররুমে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনটি নয়, সেখানে চারটি ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই তরুণী। নর্মাল ডেলিভারিতেই ওই চার সন্তানের জন্ম হয়েছে। এই ঘটনা বিরলতম বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।
চার সন্তানের মধ্যে তিন শিশুকন্যা ও একটি পুত্র। এই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল হাওড়ার বাগনানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। যদিও চার শিশু পরিণত সময়ে হয়নি বলে তাদের চিকিৎসার জন্য কলকাতার শিশু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে খবর। চার সন্তানের মা সঙ্গীতা অধিকারী শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন বলে খবর। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ঘটনা জানাজানি হতে ওই পরিবারে খুশির হাওয়া।
হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা কার্তিক অধিকারী ও সঙ্গীতা অধিকারী গত ছ’বছর ধরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ। কয়েক মাস আগে জানা যায়, সঙ্গীতা সন্তানসম্ভবা। এরপরেই পরীক্ষা-নীরিক্ষায় জানা গিয়েছিল তাঁর গর্ভে তিনটি সন্তান আছে। ফলে মা ও সন্তানকে অত্যন্ত নজরদারিতে রাখা হচ্ছিল। শুক্রবার প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয় সঙ্গীতার। তারপরই তাঁকে ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সাড়ে সাতমাসের মাথাতেই জন্ম চার সন্তানের। আরও একটি সন্তান গর্ভে রয়েছে সেটি আন্দাজ করতে পারেননি চিকিৎসকরাও। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অভিজিৎ মজুমদার এবং দুই ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুব্রত ভৌমিক ও সনিয়া দাসকে নিয়ে একটি টিম এই অসাধ্যসাধন করে। অল্প সময়ের মধ্যেই সঙ্গীতা চার সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু সময়ের আগে জন্ম হওয়ায় সদ্যোজাতরাও প্রিম্যাচিওর বলে খবর। তাদের চিকিৎসার জন্য কলকাতার শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে অনুপম হাজরা বলেন, “সত্যি স্মরণীয় ঘটনা। প্রসূতির প্রতি শুভেচ্ছা জানাই। কামনা করি শিশুরা যেন সুস্থভাবে বেঁচে থাকে।”