সম্মানের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের কাছে পর্যুদস্ত মহামেডান, লিগ টেবিলে যথাস্থানেই দুই প্রধান

সম্মানের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের কাছে পর্যুদস্ত মহামেডান, লিগ টেবিলে যথাস্থানেই দুই প্রধান

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


ইস্টবেঙ্গল: ৩ (মহেশ, ক্রেসপো, ডেভিড)
মহামেডান: ১ (ফ্রাঙ্কা)

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্মানের ডার্বিতে মহামেডানকে ৩-১ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল। আগের ম্যাচে চেন্নাইয়িনের কাছে পর্যদুস্ত হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াল অস্কার বাহিনী। অন্যদিকে সেই তিমিরেই রইল মহামেডান। লাল-হলুদের হয়ে গোল করলেন মহেশ, ক্রেসপো ও ডেভিড। মহামেডানের একটি গোল পরিশোধ করেন ফ্রাঙ্কা। তবে ম্যাচের ফলাফলে লিগ টেবিলের ছবিটা বদলাল না। ইস্টবেঙ্গল রইল ১১তম স্থানে। মহামেডান এখনও ‘লাস্ট বয়’। যদিও ২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সের যাওয়ার জটিল অঙ্কের আশা বেঁচে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের।

আগের পর্বের ডার্বিতে ৯ জনের ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে পারেনি মহামেডান। এদিনও যুবভারতীতে তাদের খেলায় তালমিলের অভাব স্পষ্ট। বরং শুরু থেকে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল ইস্টবেঙ্গল। মেসি বাউলি শুরু করেছিলেন বাঁদিকে। এখনও পুরো ফিট নন। কিন্তু বাঁ পায়ের ক্রসগুলো নিশানায় গিয়ে পড়ছিল। যদিও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি দিয়ামান্তোকোস। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই হেডে গোলের সুযোগ এসেছিল আনোয়ারের কাছেও। ইস্টবেঙ্গলের ডানদিকে চূড়ান্ত ব্যর্থ নন্দ কুমাররা। তুলনায় চোখে পড়ছিল বাঁদিকে বিষ্ণু ও মহেশের যুগলবন্দী। আর সেটাই ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিল। বিষ্ণুর পাস থেকে প্রথম পোস্টে গোল করে গেলেন মহেশ।

ম্যাচের রং আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে দ্বিতীয়ার্ধে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে  ৬৩ মিনিটে মহেশের দুরন্ত ভলি কোনও মতে বাঁচিয়ে দেন মহামেডানের গোলকিপার পদম ছেত্রী। কিন্তু দুমিনিটের মধ্যে শিশুসুলভ ভুল করে সাদা-কালোর ডিফেন্ডাররা। সেখান থেকে কার্যত ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দেন সল ক্রেসপো। ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় ম্যাচ তখন কার্যত হাতের মুঠোয় মনে হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু গোল হজম করার বদভ্যাস কাটাতে পারল না অস্কার ব্রুজোর দল। ৬৮ মিনিটে ব্যবধান কমান মহামেডানের ফ্রাঙ্কা। যার অ্যাসিস্ট বাংলার সন্তোষ জয়ের ‘নায়ক’ রবি হাঁসদার। এদিনই প্রথম আইএসএলে নামলেন, আর নেমেই অ্যাসিস্ট।

নাটকের অবশ্য কমতি ছিল না তারপরও। কখনও গোললাইন থেকে নিশ্চিত গোল বাঁচান আনোয়ার। কখনও-বা হেক্টর ইউস্তের হেড মহামেডানের বারে লেগে বল ফিরে আসে। বলা যায়, এক অর্থে এ যেন গোল মিসের ডার্বি। শেষ পর্যন্ত মহামেডানের প্রত্যাবর্তনের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিলেন তাদের প্রাক্তনী ডেভিড। বদলি হিসেবে নেমে গোল করে যান তিনি। ম্যাচের বয়স তখন প্রায় ৯০ মিনিট। ৯৩ মিনিটে রবির একটি নিশ্চিত গল বাঁচিয়ে দেন হেক্টর। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে জেতে ইস্টবেঙ্গল। 

এই জয়ের ফলে ২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট দাঁড়াল লাল-হলুদের। অন্যদিকে ২০ ম্যাচে মহামেডানের পয়েন্ট ১১। ম্যাচের ফলাফল যাই হোক না কেন, লিগ টেবিলের ছবিটা বদলাল না। ইস্টবেঙ্গল রইল ১১তম স্থানে। মহামেডান এখনও তেরোতেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *