সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার ভোটে আর বাকি মেরেকেটে আড়াই মাস। এখনও চিরাগ অস্বস্তি কাটাতে পারল না এনডিএ শিবির। রামবিলাস পাসওয়ানের ছেলে তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান এখনও রীতিমতো হুমকি দিয়ে চলেছেন বিহার এনডিএ’র দুই বড় শরিককে। তাঁর উদ্দেশ্য একটাই, দর কষাকষিতে বাড়তি কিছু আসন তুলে নেওয়া। সেই উদ্দেশ্য পূরণ না হলে একা লড়ে ‘অন্যের যাত্রাভঙ্গে’র পরিকল্পনাও সেরে ফেলেছেন চিরাগ।
মঙ্গলবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপি এবং জেডিইউয়ের উদ্দেশে একপ্রকার হুঁশিয়ারির সুরে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এলজেপি (রামবিলাস) প্রধান। তাঁর সাফ কথা, “আমি সম্মানজনক রফা চাই। একটা আসনসংখ্যার কথা আমার মাথায় আছে। তাছাড়া আমি ভালো আসনে লড়তে চাই।” চিরাগের কথায়, “ভুলে গেলে চলবে না, বিহারের প্রতিটি আসনে ২০ থেকে ২৫ হাজার ভোটারকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা আমার রয়েছে।”
শোনা যাচ্ছে চিরাগ পাসওয়ান বিহারে অন্তত ৪০ আসনে লড়তে চাইছেন। অন্যদিকে, এনডিএ’র অন্দরে প্রাথমিক যে আসনরফা হয়েছে তাতে গোটা তিরিশের বেশি আসন পাওয়ার কথা নয় লোকজন শক্তি পার্টির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন, আসনসংখ্যার দাবি পূরণ না হলে এনডিএ থেকে বেরিয়ে যেতে দু’বার ভাববেন না তিনি। তাতে তাঁর চেয়েও যে ক্ষতি এনডিএর বড় শরিকদের বেশি হবে, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন চিরাগ। তাঁর কথায়, “যে কোনও সুস্বাদু তরকারি যেমন লবণ ছাড়া বিস্বাদ হয়ে যায়, তাঁকে বাদ দিলে এনডিএ-ও তেমনই হবে।” আসলে চিরাগের মনে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুপ্ত বাসনা। সেটাও তিনি গোপন করেননি। রামবিলাস পুত্র সমর্থকদের দোহাই দিয়ে বলছেন, “সব বড় নেতার সমর্থকরাই চান, তাঁদের নেতা বড় কিছু করুন। আমার সমর্থকরাও আমাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান। এতে অন্যায়ের কিছু নেই।”
বস্তুতই, শেষ পর্যন্ত চিরাগ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আলাদা লড়লে সেটা নীতীশ কুমারের জন্য বড় ধাক্কা হবে। কুড়ির নির্বাচনে চিরাগ একা লড়ে সমূহ ক্ষতি করেছিলেন নীতীশের। অন্তত গোটা তিরিশেক আসনে এনডিএ’র হারের কারণ হয়েছিলেন তিনি। চিরাগের ইঙ্গিত, আসনরফার মনপসন্দ না হলে এবারেও সেই ভোট কাটাকাটির খেলাটা খেলতে পারেন তিনি।