সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও পাকিস্তানের সঙ্গে জঙ্গিযোগের হাতে নাতে প্রমাণ মিলল। পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রী লস্কর কমান্ডার সৈফুল্লা কাসুরির সঙ্গে একমঞ্চে দেখা গেল পাকিস্তানের মন্ত্রী মালিক আহমেদ খানকে। সৈফুল্লাকে সমর্থন করে তাঁর হুঙ্কার, “ভারতে সমস্ত হামলার নেপথ্যে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর যড়যন্ত্রেই সবকিছু হচ্ছে। সৈফুল্লাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই।” সৈফুল্লা ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিল মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের পুত্র তালহা সইদ। এই ঘটনা ফের একবার প্রমাণ করল পাকিস্তান কেবল জঙ্গিবাদকে সমর্থনই করেনা বরং দেশটি সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে।
গত বুধবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে একটি অনুষ্ঠানে দেখা যায় পাকমন্ত্রী তথা পাঞ্জাব প্রদেশের স্পিকার মালিক মুহম্মদ আহমেদ খানকে। ওই মঞ্চেই দেখা যায়, তালহা, এবং আমির হামজার মতো লস্কর জঙ্গিকে। মন্ত্রীর একবারে পাশে বসে থাকতে দেখা যায় তাদের। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাসুরি বলে, “আমাকে পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রী বলে দোষ দেওয়া হচ্ছে, এখন আমার নাম গোটা পৃথিবীতে বিখ্যাত।”
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে মালিক বলেন, “এটি একটি রাজনৈতিক সমাবেশ ছিল। সকল স্তরের রাজনীতিবিদরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আয়োজকরা আমাকে ডেকেছিলেন, তাই আমি সেখানে গিয়েছিলাম।” এরপরই তিনি পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রীকে সমর্থন করে বলেন, “কাসুরিকে নিয়ে ভারতের দবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। ভারতের হামলার নেপথ্যে মোদির হাত রয়েছে। সবই তার যড়যন্ত্র।”
ভারতের তদন্তকারীদের ধারণা, পাহেলগাঁয়ের হামলার প্রধান সমন্বয়কের কাজ করেছিল লস্কর কমান্ডার কাসুরি। আড়াল থেকে সেই সাজিয়েছিল নিরস্ত্রদের উপর নৃশংস হামলার ঘুঁটি। উল্লেখ্য, এলএফটি জঙ্গিরা ২২ এপ্রিল ধর্ম পরিচয় জেনে ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করেছিল। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন পর্যটক এবং একজন স্থানীয় বাসিন্দা। পালটা ৭ মে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এরপর ধুন্ধুমার ভারত-পাক সংঘর্ষ শুরু হয়। যদিও ইসলামাবাদের অনুরোধে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দিল্লি।