বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: বিশ্বের দরবারে পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে ভারতের প্রথম পদক্ষেপ। বৃহস্পতিবার জাপানের টোকিওতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে জাপানের বিদেশমন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেডিইউয়ের সঞ্জয় ঝার নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন অভিষেক। জাপানের সরকারি স্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এদিন একের পর এক বৈঠকে অভিষেকরা পাকিস্তানের সন্ত্রাসী মুখোশ খুলে দিয়েছেন। পাশাপাশি ভারত যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছে এবং সফল হয়েছে সেই চিত্রও তুলে ধরেছেন ভারতীয় প্রতিনিধিরা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিকে সমর্থন করেছে জাপানও। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে তারা পাশে রয়েছে বলেই এদিন জাপানের শীর্ষ স্তর থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে অভিষেকদের।
জাপানে পা রেখেই এদিন টোকিওতে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান অভিষেক-সহ সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা। তারপরই তাঁরা চলে যান টোকিওতে ভারতীয় দূতাবাসে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রদূত সি বি জর্জের সঙ্গে বৈঠক করে ভারতীয় প্রতিনিধিদল। জর্জ তাঁদের কর্মসূচি সম্পর্কে বুঝিয়ে দেন। তিনি জানান, “জাপান সেই দেশগুলির মধ্যে অন্যতম যারা পহেলগাঁও হামলার পরই শোকপ্রকাশ করেছিল। আমরা আগামী দিনেও সন্ত্রাস রুখতে জাপানের সাহায্য প্রত্যাশা করছি।” জাপানের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিনিধি পরিষদের চেয়ারম্যান তাকাশি এন্ডো অভিষেকদের সঙ্গে বৈঠকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থানের পাশে থাকার কথা জানান। এরপর অভিষেকরা জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি ইওয়ায়ার সঙ্গে টোকিওতে বৈঠক করেছেন। সেখানে ভারত ও জাপানের সম্পর্ক আরও মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসের ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির পক্ষেও সওয়াল করেছেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী। এদিন সন্ধ্যায় জাপানের বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন অভিষেকরা। জাপানের পর অভিষেকদের প্রতিনিধিদল আরও চারটি দেশ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়াতেও যাবেন এবং পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন।