সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ দমনে একসঙ্গে কাজ করুক র এবং আইএসআই। বিশ্বমঞ্চে চাপের মুখে সুর নরম করলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান তথা রাষ্ট্রসংঘে ইসলামাবাদের কূটনৈতিক দলের অন্যতম প্রতিনিধি বিলাবল ভুট্টো জারদারি।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস দক্ষিণ এশিয়ায় র এবং আইএসআই একসঙ্গে কাজ করলে সন্ত্রাসবাদ দমন করা সম্ভব হবে। দক্ষিণ এশিয়া এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশগুলির মধ্যে সংঘাত অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।” এরপরই তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করে বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। তাদের হস্তক্ষেপেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্যবিরতি সম্ভব হয়েছে।” যদিও এই সংঘর্যবিরতি যে আমেরিকার মধ্যস্থতাতেই হয়েছে, ট্রাম্পের সেই দাবি মানতে নারাজ ভারত।
বিলাবল আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে শেষ করতে পাকিস্তান এখনও ভারতকে সাহায্য করতে চায়। দু’দেশের সাধারণ মানুষের ভবিষ্যত এধরণের শক্তির হাতে আমরা ছেড়ে দিতে পারি না।” তাঁর সংযোজন, “দু’দেশের পারস্পরিক সম্মতিতে একটি মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করা দরকার। যেখানে উভয় পক্ষ তাদের অভিযোগ জানাতে পারে এবং যৌথভাবে কোনও জঙ্গি হামলার তদন্ত করতে পারে।” পাশাপাশি, ভারতের সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতের সিন্ধান্তকে তিনি ‘জলযুদ্ধ’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিলাবলের পরিবার খোদ একসময়ে সন্ত্রাসবাদের স্বীকার হয়েছে। দেড় দশক আগে খুন হয়েছিলেন পিপিপি প্রধানের মা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। সেই হামলার নেপথ্যে ছিল জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। সেই দগদগে ক্ষত এখনও মোছেনি বিলাবলের স্মৃতি থেকে। তাহলে পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর, সেকথা কি তিনি এবার পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিলেন? বিলাবলের এহেন মন্তব্যের পরই সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।