সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে নৃশংস হামলা চালিয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। কিন্তু সেই পাকিস্তানকেই ‘জঙ্গিদমনের অনবদ্য সঙ্গী’র সার্টিফিকেট দিল আমেরিকা! মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার মিখায়েল কুরিলার কথায়, আইএস খোরাসানদের দমনে ইসলামাবাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ এনেছে ভারত। কিন্তু ‘বন্ধু’ ভারতের সেই অভিযোগ কার্যত নস্যাৎ করে দিল মার্কিন সেনাকর্তার এই মন্তব্য।
বুধবার মিখায়েল ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, “সন্ত্রাসদমনের যুদ্ধে পাকিস্তান যথেষ্ট সক্রিয়। সন্ত্রাসদমনের দুনিয়ায় ওরা আমাদের অনবদ্য সঙ্গী হিসাবে থেকেছে দীর্ঘদিন। আইএস জঙ্গিদের খোরাসান গোষ্ঠীর বহু সদস্যকে নিকেশ করেছে। আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন পাকিস্তানের সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের দেওয়া গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে আইএস খোরাসানের অন্তত পাঁচজন শীর্ষ নেতৃত্বকে আটক করেছে পাকিস্তান, যাদের মাথার দাম প্রচুর।”
মার্কিন সেনাকর্তার এমন মন্তব্য শুনে কার্যত হতবাক ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই বারবার নয়াদিল্লি অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য করেছে পাক সরকার। এমনকি ভারতের অপারেশন সিঁদুরে মৃত জঙ্গি নেতাদের শেষকৃত্যে ইউনিফর্ম পরে হাজির ছিলেন পাক সেনাকর্তারা। জঙ্গিদের কফিনের উপরে পাকিস্তানের পতাকাও রাখা হয়েছিল।
যাবতীয় প্রমাণ-সহ আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে ভারত। এমনকি সন্ত্রাসে পাক মদতের প্রমাণ দিতে একাধিক দেশে গিয়ে বার্তা দিয়েছেন সংসদের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল। শশী থারুরের নেতৃত্বে সাংসদদের দল পাঠানো হয়েছিল আমেরিকাতেও। কিন্তু সেই সফরের কয়েকদিনের মধ্যেই এমন কথা মার্কিন সেনাকর্তার মুখে। তাহলে কি ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বন্ধুত্বে চিড় ধরল? বিতর্ক আরও উসকে দিয়ে মিখায়েলের মত, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে পাকিস্তানকে ত্যাগ করতে হবে এমন তো নয়। দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্কে ইতিবাচক দিকগুলোর উপর আমেরিকা নজর রাখবে বলেই তাঁর দাবি।