হেমন্ত মৈথিল, মহাকুম্ভনগর: ১৩ জানুয়ারি শুরু হওয়া মহাকুম্ভ জমে উঠেছে ভক্ত ও সন্তদের উপস্থিতিতে। শনিবার মেলার সেক্টর ২০ চত্বরে নাগা সাধুদের ১৩টি আখড়ায় চলল দীক্ষাদান পর্ব। এদিন ১৫০০ জন তরুণ সন্ন্যাসী দীক্ষা নিয়ে যোগ দিলেন অস্ত্রধারী ‘নাগা বাহিনী’তে। শনিবার ভোরে গঙ্গাতীরে শুরু হয় পঞ্চ দশনাম জুনা আখড়ার অবধূতদের দীক্ষা অনুষ্ঠান। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নাগা সাধুদের জন্য বিখ্যাত এই জুনা আখড়া। এদিন পনেরো হাজারের বেশি সাধুর দীক্ষা হওয়ায় সেই সংখ্যা আরও বাড়ল বলা বাহুল্য। জানা গিয়েছে, এবারের কুম্ভ মেলায় মোট ৫ হাজার নাগা অবধূতকে দীক্ষা দেওয়া হবে।
মহাকুম্ভের অন্যতম আকর্ষণ শিবের উপাসক এই দিগাম্বর নাগা সাধুরা। সনাতন ধর্মের বিশ্বাসের সবচেয়ে বড় স্রোত দেখা যায় জুনা আখড়ায়। সেখানে অবধূতরা অপেক্ষায় থাকেন বারো বছর অন্তর অনুষ্ঠিত দিক্ষাদান পর্বের জন্য। এবার যা পালিত হল সেক্টর ২০ চত্বরের আখড়াগুলিতে। শ্রী পঞ্চ দশনাম জুনা আখড়ার আন্তর্জাতিক মন্ত্রী (প্রধান সন্ন্যাসী) শ্রী মহান্ত চৈতন্য পুরী নিশ্চিত করেছেন, শনিবার থেকে শুরু হয়েছে দীক্ষা। প্রথম পর্বে দেড় হাজারের বেশি অবধূতের দীক্ষা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। উল্লেখ্য, জুনা আখড়ায় বর্তমানে মোট নাগা সাধুর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৩ হাজার।
প্রসঙ্গত, ১৪৪ বছর পর এবারের মহাকুম্ভ। প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে ৪০ কোটি পুণ্যার্থীর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে এক অস্থায়ী নগরী। ১৫ বর্গমাইল এলাকায় গড়ে তোলা সেই অস্থায়ী নগরীর আয়তন নিউইয়র্ক নগরের ম্যানহাটান বরো এলাকার দুই–তৃতীয়াংশ। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে হিন্দু পুণ্যার্থীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ।