সচিবজিকে চুমু খেতে রাজিই হননি, ‘রিংকি’র আর্জিতে বদলানো হয় ‘পঞ্চায়েত ৪’-এর চিত্রনাট্য!

সচিবজিকে চুমু খেতে রাজিই হননি, ‘রিংকি’র আর্জিতে বদলানো হয় ‘পঞ্চায়েত ৪’-এর চিত্রনাট্য!

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পঞ্চায়েত’ দেখে ‘ফুলেরা’ গ্রামের প্রেমে পড়েননি এমন দর্শক খুঁজে পাওয়া দায়! পর পর তিনটি সিরিজে ছক্কা হাঁকিয়ে এবার ফের একবার পুরো ব্যাটেলিয়ন নিয়ে ফিরলেন সচিবজি জীতেন্দ্র তিওয়ারি। এবার গল্পের প্রেক্ষাপট ফুলেরা গ্রামপঞ্চায়েতের ভোট। যেখানে প্রধান মঞ্জুদেবী নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। কারণ ভোটের ময়দানে এবার তাঁর সম্মুখ সমরে ক্রান্তিদেবী। মঞ্জু বনাম ক্রান্তির লড়াই ভোটযুদ্ধে জর্জরিত সহজ-সরল ফুলেরা যেন এবার আরও পরিণত। তবে এবারের গল্পের প্লটে দর্শকদের একাংশ আশাহত হয়েছেন সচীবজি আর রিংকির রোম্য়ান্স না দেখানো নিয়ে। চলতি কথায় অনেকে বলছেন, ‘এ তো বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না’ গোছের ব্যাপার। তবে নির্মাতারা কিন্তু চেয়েছিলেন ‘পঞ্চায়েত’-এর চতুর্থ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সচিবজি-রিংকির রগরগে প্রেম, রোম্যান্সটা দেখাবেন। তাহলে বাদ সাধল কোথায়? জানা গেল রিংকি ওরফে সানভিকা নিজেই।

সম্প্রতি ‘জাস্ট টু ফিল্মি’ নামের এক ইউটিউব চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে সানভিকা জানান, “গল্পটা আমাকে শোনানোর সময়ে কেউ বলেনি যে এমন একটা চুম্বন দৃশ্য থাকবে। তবে পরে পরিচালক অক্ষত আমার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন। উনি বলেছিলেন, এই সিজনে আমরা একটা ঘনিষ্ঠ দৃশ্য রেখেছি। যেখানে সচিবজি আর রিংকি একে-অপরকে চুমু খাবে। প্রথমটায় ওই সিকোয়েন্স শুট করার পরিকল্পনাটাই অন্যরকম ছিল। বলা হয়েছিল, দুজনেই একটা গাড়িতে বসে থাকবে। পরে নামতে গিয়ে রিংকি পড়ে যাবে। আর তখনই ওরা একে অপরকে চুম্বন করবে। তবে এটা শোনার পর আমি পরিচালকের কাছ থেকে দু দিন সময় চেয়ে নিয়েছিলাম।” তারপর? সানভিকার সংযোজন, “আদৌ চুমুর দৃশ্যে শুটের জন্য আমি প্রস্তুত কিনা, সেই চিন্তাই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। পরে ভেবে দেখলাম, ‘পঞ্চায়েত’-এর সব ধরনের দর্শক রয়েছে। বিশেষ করে এটা ফ্যামিলি শো। অনেকেই পরিবারের সঙ্গে বসে এই শোটা দেখেন। আমি চিন্তা করলাম জিতেন্দ্রর প্রতিক্রিয়াই বা কী হবে এই বিষয়ে? তাছাড়া আমিও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি না। তাই সেইসময়ে পত্রপাঠ চুম্বন দৃশ্যে অভিনয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দিই। পরে অবশ্য নির্মাতারা সেই দৃশ্য বাদ দিয়ে ট্যাঙ্কের উপরে রোম্যান্সের দৃশ্যটাকে রাখেন।” কিন্তু এই আপত্তি কেন?



সানভিকা জানান, বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে মুম্বইতে চলে এসেছিলাম কেরিয়ার গড়তে। সেই মূল্যবোধ যে আজও তার মধ্যে কাজ করছে, সাক্ষাৎকারে সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত-এর রিংকি জানান, “নির্মাতারা আমাকে কথা দিয়েছিলেন, যে ট্যাঙ্কের উপরের দৃশ্যটায় কোনওরকম অশ্লীলতা থাকবে না। তবে শুটিং করার সময়ে আমার খুব অদ্ভূত লেগেছিল। ভীষণ অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি তবে জীতেন্দ্র খুব ভালো মানুষ। ও-ই বিষয়টা বুঝতে পেরে সামলে নিয়েছিল।” আর পরিবারের কী প্রতিক্রিয়া? এপ্রসঙ্গে সানভিকা বলেন, “পরিবারের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। তবে ওঁরা এখন আমাকে বোঝে। ওঁরা আমার সাফল্যের জন্য খুবই খুশি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *