শ্যালিকা-জামাইবাবুর সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার, হতাশায় ‘আত্মঘাতী’ যুগল

শ্যালিকা-জামাইবাবুর সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার, হতাশায় ‘আত্মঘাতী’ যুগল

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: শ্যালিকার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল জামাইবাবুর। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা সেই সম্পর্ক মেনে নেননি। আর তাতে হতাশা বাড়ছিল প্রেমিক-প্রেমিকার। শেষমেশ নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে এই সম্পর্ককে শেষ করে ফেলার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত করলেন তাঁরা। বিষ খেয়ে দুজন আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় জামাইবাবুর আর শুক্রবার বিকেলে প্রাণ হারান শ্যালিকা। ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া থানার হাটগাছা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চিকনবাড় গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, জামাইবাবুর নাম তন্ময় দাস, বয়স মাত্র ২৫ বছর।

বছর পাঁচেক আগে চিকনবাড়ের বাসিন্দা তন্ময়ের বিয়ে হয় সঙ্গে কুলগাছিয়ার মাধবপুরে। তন্ময় পেশায় এক গেঞ্জি কারখানার কর্মী। শ্যালিকার সঙ্গে জামাইবাবু তন্ময়ের স্বাভাবিক সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু তা যে এভাবে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে গড়াবে, কেউ ভাবতেই পারেননি। তবে কিছুদিন আগে বিষয়টা জানাজানি হওয়ায় দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। দুটি পরিবারই দুজনকে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলে। কিন্তু দুজনেই নিজেদের প্রেমের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। এমনকী শেষে দুজনেই চরম সিদ্ধান্ত নেয়।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে তন্ময় অন্যান্য দিনের মতো কাজে যান এবং কাজ শেষে আবার বাড়িও ফিরে আসেন। পরে বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান, ডেকে নেন শ্যালিকাকেও। দুজনে অন্যত্র গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, তবে বাড়িও ফিরে আসে। তারপর দুজনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বমি হয় তাঁদের। পরিবারের লোকেরা তাঁদের অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে তাঁরা বিষ খাওয়ার কথা স্বীকার করে। পরিবারের লোকেরা দুজনকেই অসুস্থ অবস্থায় উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। রাতে তন্ময়ের মৃত্যু হয়। পরে শুক্রবার বিকেলে তন্ময়ের শ্যালিকারও মৃত্যু হয়। হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের এক কর্তা জানান, মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *