সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের দেশে ফের বড়সড় ধাক্কা খেলেন শাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়কের দেশ ছাড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ঢাকার আদালত। শেয়ার বাজারে বিরাট দুর্নীতির কারণে শাকিব-সহ মোট ১৬ জনের উপর এই নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত।
একসময় দুর্নীতি দমন কমিশনের বা দুদকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান। কিন্তু প্রাক্তন অ্যাম্বাসাডরের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করে দুদক। শাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেআইনি পদ্ধতিতে শেয়ার বাজারে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। এমনকি আর্থিক তছরূপ করতে শাকিব এবং তাঁর সঙ্গীরা ৮.৯৭ কোটি এবং ৪.৪৮ কোটি টাকার লেনদেনও করেছিলেন। স্টক মার্কেটের একাধিক নিয়ম ভাঙার অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে।
দুদকের জোড়া পিটিশনের ভিত্তিতেই ঢাকার আদালতের বিচারক জানিয়েছেন, আপাতত বাংলাদেশ ছেড়ে বেরতে পারবেন না ১৬ জন অভিযুক্ত। তবে শাকিব আপাতত বাংলাদেশে নেই। নিজের ঘরের মাঠে বিদায়ী টেস্ট খেলার আবেদন জানিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। কারণ দেশে ফিরলে শাকিবকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বিসিবি। উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশে পালাবদলের পর থেকেই দেশের বাইরে রয়েছেন শাকিব। এখন আদালতের এই নির্দেশের পর কি তারকা ক্রিকেটারকে দেশে ফেরানো হবে?
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামি লিগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়। এই সংসদে ক্রিকেটার শাকিব আওয়ামি লিগের টিকিটে মাগুরা থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। শাকিবের বিরুদ্ধে নানা ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিলহানুর রহমান নাওমি। গত বছরের ৮ নভেম্বর শাকিব আল হাসানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার কথা জানায় আর্থিক খাতের গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।