সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুল্কের খাঁড়া হাতে বিশ্বজুড়ে দাপাদাপি শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এহেন ‘পাগলামি’তে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আমেরিকার অন্দরেই। তবে কোনওরকম সমালোচনা সহ্য করতে নারাজ গোঁয়ার ট্রাম্প। তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলার পরই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর রোষানলে পড়লেন প্রাক্তন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। তল্লাশি অভিযান চলল তাঁর বাড়িতে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জেরেই এই প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম ‘হিন্দুস্থান টাইমস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে ‘বিকৃত রাষ্ট্রপতি’ বলে তোপ দেগেছিলেন বোল্টন। ভারতের উপর আমেরিকার শুল্ক চাপানোর ঘটনাকে অত্যন্ত খারাপ সিদ্ধান্ত বলে তোপ দাগেন তিনি। যেখানে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হচ্ছে, সেই একই কাজের জন্য চিনকে রেহাই দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন প্রাক্তন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা। এক্স হ্যান্ডেলে ট্রাম্পকে তোপ দেগে তিনি লেখেন, ‘যেখানে রাশিয়ার তেল কেনার জন্য ভারতের উপর বাড়তি শুল্ক চাপানো হচ্ছে, সেখানে চিনকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে। হতে পারে এই ঘটনায় ভারতকে বেজিং ও মস্কোর আরও কাছাকাছি এনে দেবে। অজান্তে হলেও ট্রাম্প প্রশাসনের এই উদাসিনতা এক বড়সড় ভুল।’
প্রাক্তন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের এই বার্তা সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে যায় মার্কিন রাজনীতিতে। এরপরই শুক্রবার সকালে জানা যায় এফবিআই তল্লাশি চালাচ্ছে বোল্টনের বাড়িতে। নিউইয়র্ক পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ মোরেল্যান্ডের বেথেসডায় বোল্টনের বাড়িতে হানা দেন এফবিআই কর্তারা। খোদ এফবিআই প্রধান কাশ প্যাটেলের নির্দেশেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই এক্স হ্যান্ডেলে কাশ প্যাটেল লেখেন, ‘আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন, এফবিআই এজেন্টরা বড় অভিযানে রয়েছেন।’
উল্লেখ্য, গত মাসে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপর রুশ তেল আমদানির ‘অপরাধে’ আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপে ভারতের উপর। তবে আমেরিকার সামনে মাথা নত না করে রাশিয়ার থেকে তেল কেনা জারি রেখেছে ভারত। বেড়েছে চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা। যা বহু মার্কিন কূটনীতিকের ঘুম ছুটিয়েছে। গোটা ঘটনায় ট্রাম্পকে দুষছেন আমেরিকার বহু প্রাক্তন আধিকারিক। তাঁদের সামাল দিতে এবার এফবিআইকে অস্ত্র করলেন ট্রাম্প?