রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: চলতি সেপ্টেম্বরে মহালয়ার পরদিন কলকাতায় দুর্গাপুজোর উদ্বোধন কর্মসূচি রয়েছে অমিত শাহের। শাহ রাজ্যে পা রাখার আগেই নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হয়ে যাবে বঙ্গ বিজেপির। নিজের নয়া টিমের সদস্যদের নাম ঘোষণা করে দিতে পারেন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্য বিজেপির নতুন টিমের সঙ্গে যদি শাহের একটি বৈঠকের আয়োজন করা যায়। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব এখন সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে বলে অন্দরের খবর।
এদিকে, নতুন রাজ্য কমিটির পদাধিকারী হিসাবে কারা কারা থাকছেন, কারা বাদ যাবেন তা নিয়েও জল্পনা চলছে। বর্তমান পদাধিকারীদের অনেকেই পদে বহাল থাকতে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গেও আলাদা করে দেখা করেছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, শমীকের টিমে সভাপতির পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক। সেই সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তিনজনকে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে শেষ মূহূর্তের খবর। বর্তমানে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দীপক বর্মণ, অগ্নিমিত্রা পাল এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। শেষ মুহূর্তে যদি কোনও সিদ্ধান্ত বদল না হয়, তাহলে এঁদের মধ্যে তিনজন নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়তে পারেন। অন্যদিকে, সহ-সভাপতি এবং সম্পাদক পদ থেকেও একাধিক নাম বাদ পড়তে চলেছে। নতুন কমিটিতে ঢুকতে চলেছেন বহু পুরনো নেতা।
এদিকে, আরও ১০জন জেলা সভাপতিকে ফের বদল করা হচ্ছে বলেও খবর। শমীক দায়িত্ব নেওয়ার আগে সিংহভাগ জেলা সভাপতি নির্বাচন হয়ে গিয়েছিল সুকান্ত মজুমদারের জমানায়। শমীক রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর বাকি পড়ে থাকা চারটি জেলার সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে গেলেও ১০জন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বেশ কিছু রিপোর্ট জমা পড়েছিল শমীক ভট্টাচার্যর কাছে। সেই রিপোর্টে যে অভিযোগ ছিল তা যে সঠিক সেটা খতিয়ে দেখাও হয়ে গিয়েছে টিম শমীকের। তাই পুজোর পরই দশটি জেলা সভাপতি ফের বদল হতে চলেছে। যেহেতু সদ্য তারা নির্বাচিত হয়েছেন তাই এক্ষেত্রে শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতিও চাওয়া হয়েছে।