সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা সময়ে মনে হচ্ছিল, ৫০ রানের মধ্যেই হয়তো শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশ ইনিংস। পরপর উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল টাইগার বাহিনী। দাঁতে দাঁত চাপা লড়াইয়ে কেবল কামব্যাক নয়, ভারতের বিরুদ্ধে সম্মানজনক স্কোরেও পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। এই কামব্যাকের দুই নায়ক জাকের আলি এবং তৌহিদ হৃদয়।
ম্যাচের শুরু থেকেই পরপর উইকেট খুইয়ে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। মহম্মদ শামি এবং হর্ষিত রানার গতি সামলাতে পারেননি টপ অর্ডারের ব্যাটাররা। প্রথম ওভারেই আউট হয়ে যান ওপেনার সৌম্য সরকার। দ্বিতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭ ওভারের মধ্যে পেসাররা তিন উইকেট তুলে নিয়ে বড়সড় ধাক্কা দেন বাংলাদেশকে। নবম ওভারে জোড়া উইকেট পান অক্ষর প্যাটেল। ৩৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন ধুঁকছে।
সেখান থেকে টাইগারদের ইনিংস গড়ার কাজ শুরু জাকের-তৌহিদের। প্রথমজনের ক্যাচ ছেড়েছিলেন রোহিত শর্মা। সেই ধাক্কা সামলে উঠে ৬৮ রান করলেন জাকির। অন্যদিকে বাংলাদেশের সম্মানরক্ষার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেন হৃদয়। হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ‘পুষ্পা’ সেলিব্রেশন করেছিলেন। তারপর সেঞ্চুরি পূরণ করলেন সবমিলিয়ে ১১৪ বলে। হতাশার আঁধারে ডুবে থাকা বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্তদের মুখে তখন হাজার ওয়াটের হাসি আর কামব্যাকের হুঙ্কার। খেলতে খেলতে বারবার মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন, তবু হাল ছাড়েননি হৃদয়। টিকে থেকেছেন ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত হর্ষিত রানার বলে উইকেট খোয়ালেন বাংলাদেশি জনতার নতুন ‘হিরো’।