বাংলাদেশ: ২২৮ (হৃদয়-১০০, জাকের-৬৮, শামি-৫/৫৩, হর্ষিত-৩১/৩)
ভারত: ২৩১/৪ (রোহিত-৪১, গিল-১০১*, রাহুল-৪১*, রিশদ- ২/৩৮)
ভারত জয়ী ৬ উইকেটে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাটিং নাকি বোলিং? চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের উদ্বোধনী ম্য়াচে নজর কাড়ল কোন বিভাগ? তৃপ্তির হাসি হেসে রোহিত শর্মা বলতেই পারেন, একেই বলে টিম গেম। যেখানে কামব্যাক করে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে জশপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতির ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে দেন মহম্মদ শামি। আর রোহিত-কোহলিদের নির্ভরশীলতা কাটিয়ে কঠিন পিচে ঠান্ডা মাথায় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শুভমান গিল জানান দিয়ে দেন, তিনিই টিম ইন্ডিয়ার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
গত পাঁচটা ওয়ানডের দিকে তাকালে দেখা যাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত জিতেছিল দুটিতে। আর মুশফিকুরা তিনটিতে জয়ী হন। তবে সেই বাংলাদেশের সঙ্গে এই দলে বিস্তর ফারাক রয়েছে। দলে অভিজ্ঞ তারকার অভাব স্পষ্ট। বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুতেই যা বেশ ভালোই বোঝা গিয়েছিল। পাওয়ার প্লে-তেই একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপকে রীতিমতো চাপে ফেলে দেন শামি-হর্ষিতরা। যদিও সেসব সামলে চাপের মুখে দুরন্ত শতরান করেন তওহিদ হৃদয়।
দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলা হল মোট ৯৬.৩ ওভার। যেখানে নির্ধারিত ৫০ ওভারই খেললেন হৃদয়রা। অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ একশোর গণ্ডিও পেরতে পারবে কি না। কিন্তু ক্যাচ ফস্কানোর খেসারত দিতে হয় ভারতকে। আর সেই সুযোগেই স্পিন-সুইংয়ের ধাক্কা সামলে শতরান করে ফেলেন হৃদয়। তাঁর যোগ্য সঙ্গী হয়ে ওঠেন জাকের আলি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুতেই শামি যেভাবে নিজেকে মেলে ধরলেন, তা নিঃসন্দেহে স্বস্তি দেবে রোহিত ও গম্ভীরকে।