শান্তি বৈঠকের নিটফল শূন্যই, ৬ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার দেহ ফেরাবে রাশিয়া

শান্তি বৈঠকের নিটফল শূন্যই, ৬ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার দেহ ফেরাবে রাশিয়া

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন বছর পেরিয়ে গেলেও লড়াই থামার নাম নেই। একে অপরকে ঝাঁজরা করে দিচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন। দু’দেশকে শান্তির পথে আনার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে আমেরিকা। দ্বিতীয় দফায় শান্তি আলোচনা হয়েছে তুরস্কের ইস্তানবুলে। যা খুব একটা ফলপ্রসু না হলেও বন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে যুযুধান দু’পক্ষ। এমনকী ৬ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মৃতদেহও কিয়েভের হাতে তুলে দেবে মস্কো।

গত মাসেই ইস্তানবুলে প্রথম দফায় বৈঠক হয় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্য়ে। তার নিটফলও শূন্য়ই ছিল। এর মাঝেই রবিবার আকস্মিক হামলা চালিয়ে মহাশক্তিধর রাশিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। বায়ুসেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’ চালিয়েছে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশ। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে রুশ বোমারু বিমান Tu-95, Tu22M3 ও একটি A-50 বিমান। যদিও এরপরেও ইস্তানবুলে আলোচনায় বসেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে ভ্লাদিমির মেডিনস্কি জানিয়েছেন, “প্রথমে আমরা ৬ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা ও অফিসারের দেহ ফেরত দেব। আমরা তাঁদের রেখে দিয়েছিলাম। আমরা যাঁদের সম্ভব তাঁদের সবাইকে শনাক্ত করেছি। ডিএনএ পরীক্ষা করেছি এবং পরিচয় খুঁজে বের করেছি। আগামী সপ্তাহে আমরা এই মৃতদেহগুলো ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করব।”

জানা গিয়েছে, এছাড়াও যাঁরা গুরুতর আহত, যাঁদের বয়স পঁচিশের কম তাঁদের ও ছেড়ে দেওয়া হবে। অন্য়দিকে, রুশ অফিসারদের দেহও ফিরিয়ে নেবে মস্কো। অনেকদিন ধরেই অভিযোগ ছিল যে, বহু ইউক্রেনীয় শিশু রাশিয়ার হাতে বন্দি। এনিয়ে, মেডিনস্কি জানান, “শিশুরা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সম্প্রতি শুনেছি যে, রাশিয়ানরা ১.৫ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় শিশুকে অপহরণ করেছে। আমাদের পদক্ষেপে সংখ্যাটি কমে ২ লক্ষে নেমে এসেছে। এখন এই সংখ্যাটি ২০ হাজার। আমরা প্রতিটি মামলা খতিয়ে দেখব।”

উল্লেখ্য, গতকাল অপারশেন ‘পাভুতিনা’ অথবা অপারেশন স্পাইডার ওয়েবের সাফল্যের পরেই এক্স হ্যান্ডেলে দীর্ঘ পোস্ট করেন জেলেনস্কি। দেশের নিরাপত্তা সার্ভিসের প্রধান ভাসিল মালিউকের রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনি জানান, ‘রাশিয়ার উপরে অব্যর্থ হামলা হয়েছে। যেটুকু তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব সেটা আমজনতাকে জানানো হবে। তবে যেভাবে ইউক্রেন এই হামলা চালিয়েছে তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। নিজেকে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে ইউক্রেনের। এই হামলার পর রাশিয়াকে বুঝতে হবে যুদ্ধ থামানোটা কতখানি জরুরি।’ফলে কবে এই যুদ্ধ থামবে তার উত্তর এখনও অধরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *