শশীতে বাড়ছে অস্বস্তি! ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ শুক্রে বৈঠক ডাকল কেরল কংগ্রেস

শশীতে বাড়ছে অস্বস্তি! ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ শুক্রে বৈঠক ডাকল কেরল কংগ্রেস

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের রাজনীতিতে এখন শশী থারুরকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কারণ এই মুহূর্তে কংগ্রেসের সঙ্গে ‘বিরহ’ পর্ব চলছে তিরুঅনন্তপুরমের চারবারের সাংসদের। প্রশ্ন উঠছে, কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে শশী বিজেপির দিকে পা বাড়াবেন নাকি বামদিকে ঝুঁকবেন? সেটাই দেখার। এই চাপানউতোর নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, শশীকে নিয়ে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতেই নাকি শুক্রবার বড়সড় বৈঠকের ডাক দিয়েছে কেরলের হাত শিবির। 

চলতি বছরের শেষে কেরলে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু শশী থারুরকে নিয়ে এখন চাপে কংগ্রেস। কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের প্রশংসা করছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েলের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি পোস্ট করতেও দেখা গেল শশীকে। এনিয়ে এখন জোর আলোচনা চলছে দলের অন্দরে। তবে কেরলের হাত শিবিরের শীর্ষনেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এখনই শশীর কোনও মন্তব্যের প্রকাশ্যে জবাব দেবেন না। সূত্রের খবর, শুক্রবার বৈঠকে বসছেন কেরলের শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা। বিজেপি ও সিপিএমের বিরুদ্ধে কৌশলে শান দেওয়াই তাঁদের মূল অ্যাজেন্ডা। তবে নির্বাচনের আগে দলের সঙ্গে শশীর এই ‘বিরহ’ নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

এই মুহূর্তে কেরলের কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে সঙ্গে রীতিমতো বাদানুবাদ চলছে শশী থারুরের। আসলে শশী মনে করছেন, এই মুহূর্তে কেরলে কংগ্রেস নেতৃত্বহীনতায় ভুগছে। সেকারণেই শেষদফায় বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করা যায়নি। এমনকী শশীর এও দাবি, যে তিনিই কেরলে কংগ্রেসের জনপ্রিয়তম নেতা। কংগ্রেসি ভাবধারার বাইরের বহু মানুষের কাছেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আছে। যা নিয়ে কেরল কংগ্রেসে রীতিমতো টানাপড়েন শুরু হয়। এর মধ্যে আবার শশী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফর এবং কেরলের বাম সরকারের শিল্প নীতির প্রশংসা করেন। সব মিলিয়ে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব যে বেড়েছে সেটা স্পষ্ট। দিন কয়েক আগে খোদ রাহুল গান্ধী তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাতেও শশীর অভিমান বিশেষ মেটানো যায়নি।

উল্লেখ্য, মোদির আমেরিকা সফরের প্রশংসা করা নিয়ে গত সপ্তাহে শশী স্পষ্ট জানান যে, তিনি কেবল স্টার্টআপ সেক্টরে রাজ্যের অগ্রগতি তুলে ধরছেন। তারপরই তিনি বলেন, “যদি দল আমাকে চায় তাহলে আমি নিশ্চয়ই দলের সঙ্গে থাকব। কিন্তু আমার নিজের অনেক কিছু করার জন্য আছে। আমার করার কিছু নেই, এটা ভাবলে খুব ভুল হবে। আমার বিকল্প পথ রয়েছে। আমার বই রয়েছে। বক্তৃতা দেওয়ার জন্য বিশ্বের বহু জায়গা থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।” ফলে শশীর এই ‘অভিমান’ ভাঙানো নিয়ে শুক্রের বৈঠকে কী আলোচনা হয় সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি শশী বিজেপিতে যোগ দেন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তা কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *