রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ফের দলে গুরুত্ব পেতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ? অন্তত ইঙ্গিত তেমনই। মঙ্গলবার দুপুরে শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই দিল্লিতে ডাক পেলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। সূত্রের দাবি, বুধবারই দিল্লি উড়ে যাবেন তিনি।
‘উনিশে হাফ, একুশে সাফ’ এই স্লোগানকে হাতিয়ার করে একুশের বিধানসভায় প্রচার সেরেছিলেন দিলীপ। কিন্তু ৭৭-এই থামতে হয় বিজেপিকে। লোকসভা ভোটে প্রার্থী করা হলেও ‘ঘর’ খড়গপুর ছাড়তে হয় তাঁকে। দুর্গাপুর-বর্ধমান কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে হারতে হয়। দলেরও পদ হারাতে হয় দিলীপকে। তারপরেও সংগঠনের কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। কিছুদিন আগেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। কার্যত পার্টিলাইন অমান্য করেই জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিন দিঘায় হাজির হয়েছিলেন নবদম্পতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে খোশগল্পও করেন। তারপর থেকেই দলীয় কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে এলেও তাঁদের কর্মসূচিতে ডাক পাননি বঙ্গ বিজেপির ‘পোস্টার বয়’ দিলীপ। এমনকী, শমীক ভট্টাচার্যের বরণ সভায়ও ডাক পাননি তিনি। যা দেখে রাজনৈতিক মহল মনে করছিল, বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ জমানার ইতি। কেউ কেউ বলতে শুরু করেছিলেন, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে ফুল বদল করবেন তিনি।
মঙ্গলবার সেই সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দেন শমীক ও দিলীপ। নয়া রাজ্য সভাপতির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সল্টলেকের রাজ্যদপ্তরে পৌঁছে যান তাঁর পূর্বসূরি। দুজনের মধ্যে কথাও হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে দিলীপ বলেন, “যখন দলে এসেছিলাম তখন শমীকদা আমার সিনিয়র ছিলেন। নতুন-পুরনো সব কর্মীরা মিলেই দলকে এই জায়গায় এনেছে। লড়াই জারি থাকবে। শমীকদার নেতৃত্বেই নবান্নে পরিবর্তন আসবে।” এরপরই রাতে খবর আসে দিল্লিতে ডাক পেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। কথা বলবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে কি ফের রাজ্য বিজেপির সংগঠনের গুরুদায়িত্ব পেতে চলেছেন দিলীপ? তবে কি শমীক-দিলীপের হাত ধরেই বঙ্গ বিজেপিতে চাঙ্গা হতে চলেছে আদি গোষ্ঠী আর কোণঠাসা হতে চলেছে শুভেন্দুরা? প্রশ্ন অনেক, উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুটা।