শতরানে জাডেজা-ওয়াশিংটনের অদম্য লড়াই, ম্যাঞ্চেস্টারে সসম্মানে ম্যাচ ড্র ভারতের

শতরানে জাডেজা-ওয়াশিংটনের অদম্য লড়াই, ম্যাঞ্চেস্টারে সসম্মানে ম্যাচ ড্র ভারতের

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


ভারত 

প্রথম ইনিংস ৩৫৮ (সুদর্শন ৬১, স্টোকস ৫/৪৫)

দ্বিতীয় ইনিংস ৪২৫/৪  (রাহুল ৯০, গিল ১০৩, জাডেজা ১০৭, সুন্দর ১০১) 

ইংল্যান্ড 

প্রথম ইনিংস ৬৬৯ ( স্টোকস ১৪১, জাডেজা ৪/১৪১) 

ম্যাচ ড্র 

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবীন্দ্র জাডেজা এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের অদম্য লড়াই। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস ম্যাঞ্চেস্টারের টেস্ট ম্যাচ ড্রয়ের প্রস্তাব দিলেন। ফলে খারাপ পিচেও সসম্মানে ম‍্যাচ বাঁচাল ভারত। ১৪৩ ওভার ব্যাট করে ইংল্যান্ডের মুখের গ্রাস ছিনিয়ে নিয়ে সিরিজে টিকে রইলেন শুভমন গিলরা। রবিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ছক্কা মেরে শতরান করলেন জাডেজা (১০৭)। অন্যদিকে জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি করলেন ওয়াশিংটন (১০১)। স্টোকসের প্রস্তাবের ফলে ১০ ওভার আগেই ফুরোলো খেলা। 

ভারতের এই ড্র-কে নৈতিক জয় বলাই যায়। ইংল্যান্ড সহজে ম্যাচ জিততে চলেছে, এক সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। গিল ও রাহুলের উইকেট চলে যাওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছিল ভারতীয় দর্শকরা। একাধিক প্রশ্ন ভাসছিল মগজে—ভাঙা পায়ে পন্থ কি খেলতে পারবেন? তাহলে কে বাঁচাবে ম্যাচ? একা জাদেজা কি পারবেন? যদিও সেই ম্যাচ সম্মানের সঙ্গে ড্র করল ভারত। ইংল্যান্ড সিরিজে এগিয়ে থাকলেও নৈতিক হার হল না ভারতের। নেপথ্যে বহু যুদ্ধের ঘোড়া জাদেজার পাশাপাশি তরুণ ওয়াশিংটন সুন্দর। এদিন জীবনের প্রথম টেস্ট শতরান হাঁকালেন। তরুণ তুর্কির সেঞ্চুরির পরেই স্টোকসের ড্রয়ের প্রস্তাব মেনে নিলেন গিল। এর ফলে ম্যাঞ্চেস্টারে মাঠে ভারতের জয় না পাওয়ার ধারাও অব্য়াহত রইল।

ম্যাঞ্চেস্টারে প্রথম ইনিংসে ভারত করেছিল ৩৫৮ রান। জবাবে ভারতীয় বোলিংকে একপ্রকার নির্বিষ করে ৬৬৯ রান করেন বেন স্টোকসরা। রানের পাহাড়ে চড়ে তাঁরা ভারতের সামনে লিড রাখেন ৩১১ রানের। চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। ক্রিস ওকসের চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে একে একে সাজঘরে ফিরে যান যশস্বী এবং সুদর্শন। লাঞ্চে যাওয়ার আগে ভারতের রান তখন ১ রানে ২ উইকেট। ম্যাচ বাঁচাতে গেলে লৌহ কঠিন মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করতে হত রাহুল এবং অধিনায়ক গিলকে। সেই কাজে তাঁরা সফল।

ম্যাঞ্চেস্টারে চতুর্থ দিনের শেষে কেএল রাহুল অপরাজিত ছিলেন ৮৭ রানে। অন্যদিকে শুভমান গিল অপরাজিত ছিলেন ৭৮ রানে। তবে পঞ্চম দিনে বেন স্টোকসের বলে ৯০ রানে আউট হন রাহুল। তবে দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক গিল। বেন স্টোকসের একটি বল আচমকা লাফিয়ে গিলের হাতে ও হেলমেটে লাগে। তবু হাল ছাড়েননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ২২৮ বলে সেঞ্চুরি করেন গিল। কিন্তু তারপর আর মাত্র তিন রান যোগ করে জোফ্রা আর্চারের বলে আচমকা উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ভারত অধিনায়ক। আসলে অনেকক্ষণ ধরেই শরীরের একটু বাইরে বল করে যাচ্ছিলেন ইংরেজ বোলাররা। বারবার সেই ফাঁদ এড়ালেও শেষরক্ষা হয়নি। এরপরেই প্রশ্ন ম্য়াঞ্চেস্টারের হাওয়ায় প্রশ্ন উড়ছিল—এই টেস্ট কি ড্র করতে পারবে ভারত?

ভারত সেই ম্যাচ বাঁচাল তো বটেই, এমনকী ১৩৮ ওভারের মাথায় বেন স্টোকসের ড্রয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে। তখনও খেলার দেড় ঘণ্টা বাকি। জাডেজা ব্যাট করছেন ৮৯-এ, ওয়াশিংটন ৮০-তে। স্টোকসকে জাডেজা জানিয়ে দেন, তাঁরা আরও ব্যাট করতে চান। বাধ্য হয়ে আম্পায়ার খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ব্যাপারটা যেন এমন, আমরা আরও খানিকক্ষণ চার-ছক্কা হাঁকাই, তোমরা বল কুড়িয়ে আনো। যদিও ওয়াশিংটনের জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি সম্পূর্ণ হতেই খেলা থামান গিলরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *