ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছিল করোনা! ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হতেই ‘সিআইএ’র নিশানায় চিন

ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছিল করোনা! ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হতেই ‘সিআইএ’র নিশানায় চিন

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার রাজপাট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে উঠতেই পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটা শুরু হল নতুন করে। ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা অতিমারি কোভিড-১৯ এর দায় চিনের ঘাড়ে চাপাল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের দাবিকে মান্যতা দিয়ে জানানো হল, বিশ্বজুড়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা প্রাকৃতিকভাবে ঘটেনি, চিনের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছিল ভাইরাসটি।

গত শনিবার ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে সিআইএ-এর এক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। যেখানে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, করোনা কোনও প্রাকৃতিক ভাইরাস নয়। এটি পরিকল্পিতভাবে ল্যাবটরিতে তৈরি করা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, বাইডেনের আমলে সিআইএ প্রধানের নির্দেশে এই রিপোর্ট তৈরি করেছিল। তবে বাইডেন সরকার তা প্রকাশ করেনি। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই চিনকে নিশানায় নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টটি। পূর্বে অবশ্য আমেরিকার দাবি ছিল, হয় প্রাকৃতিক বা কৃত্রিমভাবে এই ভাইরাস তৈরি করা হয়। তবে চিনের অসহযোগিতার জন্য আসল সত্য কখনই প্রকাশ্যে আসবে না।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চিন থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে মারণ করোনা ভাইরাস। যার কবলে পড়ে গোটা বিশ্বে ৭০ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর জেরে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয় আমেরিকার। লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয় এখানে। একটা সময় দৈনিক ২ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছিল এখানে। সেই ঘটনায় সরাসরি চিনকে দায়ী করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবং এই ভাইরাসকে ‘চিনা ভাইরাস’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। যদিও দীর্ঘ তদন্তের পরও স্পষ্ট উত্তর আসেনি এই ভাইরাস ল্যাবে তৈরি নাকি প্রাকৃতিক। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই এবার সিআইএ-র চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করল মার্কিন সরকার।

যদিও প্রকাশিত ওই রিপোর্ট অবশ্য বিশেষ কোনও গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি। বরং ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা, চিনের ভাইরাস সংক্রান্ত ল্যাবরেটরি ও সেখানেই ভাইরাসের সংক্রমণ এছাড়া ভাইরাসের নানাবিধ বৈজ্ঞানিক দিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। যদিও আমেরিকার এই দাবি স্পষ্টভাবে খারিজ করে দিয়েছে চিন। এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে চিন জানিয়েছে, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে চিনকে বদনাম করতে এই সব অবৈজ্ঞানিক দাবি তুলে ধরা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *