সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিড নিতে পারল না টিম ইন্ডিয়া। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৩৮৭ রানের লক্ষ্যে ভারতের ইনিংসও শেষ হল একই রানে। অথচ একটা সময় মনে হয়েছিল, সহজেই ইংল্যান্ডের রান পেরিয়ে যাবে ‘গিল ব্রিগেড’। একটা সময় ভারতের রান ছিল ৩৭৬/৭। সেখান থেকে মাত্র ১১ রানে চার উইকেট খুইয়ে লিড নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হল।
৩ উইকেটে ১৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন কেএল রাহুল এবং ঋষভ পন্থ। তাবড় ইংরেজ বোলারদের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করেন দু’জন। লর্ডসে আরও একটা সেঞ্চুরি করেন রাহুল। সেই সঙ্গে নতুন ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় ব্যাটার। দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ঐতিহাসিক লর্ডসে দু’টি সেঞ্চুরি করলেন। যে রেকর্ড আগে ছিল শুধুমাত্র দিলীপ বেঙ্গসরকরের নামে। প্রাক্তন ক্রিকেটার অবশ্য তিনটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। যদিও সেঞ্চুরির পর অবশ্য শোয়েব বশিরের বলে আউট হন তিনি।
রাহুলের আগে অবশ্য লাঞ্চের ঠিক আগেই তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে রানআউট হয়েছেন পন্থ (৭৪)। যদিও রাহুলের সঙ্গে তাঁর ১৪১ রানের পার্টনারশিপ ভারতকে ইংল্যান্ডের রানের কাছাকাছি পৌঁছতে অনেকটাই সাহায্য করল। এরপর রাহুল আউট হওয়ার পর ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং নীতীশ রেড্ডি। তাঁদের জুটিতে উঠল মহাগুরুত্বপূর্ণ ৭২ রান। ব্যক্তিগত ৩০ রানে সাজঘরে ফেরার পর ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে স্কোর বোর্ডে আরও পঞ্চাশটা রান জুড়লেন জাদেজা। ভারতের রান যখন ৩৭৬, ক্রিস ওকসের বলে ৭২ রানে আউট হলেন জাড্ডু। এরপর একে একে ফিরে যান আকাশ দীপ (৭), জশপ্রীত বুমরাহ (০) এবং ওয়াশিংটন (০)। ভারতের ইনিংস ভেঙে পড়ে ৩৮৭ রানে।
ইংল্যান্ড যখন দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে, তখন দিন শেষ হতে বাকি মাত্র ৭ মিনিট। শুভমান বল তুলে দিলেন বুমরাহর হাতে। কিন্তু দু’টো বল যেতে না যেতেই দেখা গেল দুই ইংরেজ ব্যাটার নানান বাহানায় সময় নষ্ট করছেন। এই ঘটনায় রীতিমতো তেতে ওঠে ভারতীয় শিবির। অধিনায়ক গিলও অভিযোগ জানান আম্পায়ারকে। ইংরেজদের এহেন আচরণে এতে টেস্ট ক্রিকেট কতটা ধোপদুরস্ত থাকল, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেল। ততক্ষণে ম্যাচের সময় কেটে গিয়েছে। কিছুক্ষণ বচসার পর ওভার শুরু হলেও প্রথম ওভারে উইকেটহীন থাকলেন বুমরাহ।ইংল্যান্ডের রান বিনা উইকেটে ২।