লর্ডসে উত্তেজনা, মেজাজ হারালেন ইংরেজ ব্যাটারদের ‘ঢিলেমি’তে ক্ষুব্ধ গিল, আইপিএল যোগ দেখছেন গাভাসকর

লর্ডসে উত্তেজনা, মেজাজ হারালেন ইংরেজ ব্যাটারদের ‘ঢিলেমি’তে ক্ষুব্ধ গিল, আইপিএল যোগ দেখছেন গাভাসকর

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কে বলেছে বিরাট জমানার আগ্রাসন নেই ভারতীয় ক্রিকেটে! কে বলেছে অধিনায়ক হিসাবে ‘দুর্বল’ চরিত্রের শুভমান গিল! শনিবার রাতে তিনি যে কাণ্ডটি ঘটালেন তাতে আর যা-ই হোক গিলকে ‘দুর্বল’ বলা যাবে না। লর্ডসে তৃতীয় দিনের শেষ ওভারে ইংরেজ ব্যাটারদের রীতিমতো মারকাটারি মেজাজে তেড়ে গেলেন ভারত অধিনায়ক। এমনকী, দুই ইংরেজ ওপেনারকে গালাগালও করতে শোনা গেল তাঁকে। এর নেপথ্যে আবার আইপিএলের যোগ দেখছেন সুনীল গাভাসকর। তিনি মনে করছেন অধিকাংশ ইংরেজ তারকা আইপিএল খেলেন না। তাই সেভাবে ইংরেজদের সঙ্গে সখ্য নেই ভারতীয় ক্রিকেটারদের। সেটাই এই ধরনের বিবাদের কারণ।

ঠিক কী হয়েছিল শনিবার শেষ ওভারে? আসলে প্রথম ইনিংসে অল আউট হওয়ার পর যেটুকু সময় বাকি ছিল তাতে অন্তত দু’ওভার বল করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ভারতীয় শিবিরের। দিনের শেষদিকে নতুন বলের সুইং সামলানোটা যে কোনও ব্যাটেরের পক্ষেই চাপের। সে কারণেই কোনওভাবে দ্বিতীয় ওভার বল করার সময় যাতে ভারত না পায়, বেন ডাকেট, জ্যাক ক্রলিরা সেটা নিশ্চিত করতে চাইছিলেন। তাই নানা আছিলায় সময় নষ্টের চেষ্টা করেন তাঁরা। তাতেই রেগে যান ভারত অধিনায়ক।

ক্রলি সময় নষ্টের চেষ্টা করলে তাঁর দিকে রীতিমতো মারমুখী ভঙ্গিতে তেড়ে যান গিল। আসরে নামেন ডাকেট। তিনি ভারত অধিনায়কের আগ্রাসনের প্রতিবাদ করেন। ইংরেজদের চোখে চোখ রেখে কথা বলেন ভারত অধিনায়ক। এগিয়ে যান কে এল রাহুল-সহ অন্য সতীর্থরাও। এই বচসার মধ্যে গালাগাল দিতেও শোনা যায় ভারত অধিনায়ককে। ম্যাচের শেষ ওভারের এই ঘটনা চতুর্থ দিন নামার আগে কিছুটা হলেও তাতাবে দুই দলকে। আসলে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৩৮৭ রানের জবাবে ভারতের ইনিংসও শেষ হয় একই রানে। একটা সময় মনে হয়েছিল, সহজেই ইংল্যান্ডের রান পেরিয়ে যাবে ‘গিল বাহিনী’। একটা সময় ভারতের রান ছিল ৬ উইকেটে ৩৭৬। সেখান থেকে মাত্র ১১ রানে চার উইকেট খুইয়ে লিড নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয়। তাতে কিছুটা হয়তো বিরক্ত ছিলেন অধিনায়ক গিল।

এই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুনীল গাভাসকর বলেন, “এটা ঘটার একটা কারণ আছে। আমার মনে হয় এর কারণ হল বেশিরভাগ ইংরেজ ক্রিকেটার আইপিএল খেলেন না। আমার মনে হয় আইপিলের আগে সব দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যেই এই তিক্ততা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু এখন সব দেশের ক্রিকেটার একসঙ্গে খেলছে, একসঙ্গে ঘুরছে, এক ড্রেসিংরুম শেয়ার করছে। ফলে সেই তিক্ততা অনেক কমেছে। কিন্তু ইংরেজরা আইপিএলে না থাকায় তিক্ততা রয়ে গিয়েছে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *