সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংঘর্ষের আঁচে পুড়ছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া। যা পরিস্থিতি তাতে পুরোদস্তুর যুদ্ধ যে একরকম বেঁধেই গিয়েছে তা বলতেই হবে। এবার সেই একই কথা শোনা গেল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইয়ের মুখেও। তিনি বললেন, ”পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হতেই পারে।” পাশাপাশি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ড সীমান্তে বসবাসকারী ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
ফুমথামকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমরা চেষ্টা করেছিলাম মিটমাট করতে, যেহেতু আমরা প্রতিবেশী। কিন্তু এবার আপৎকালীন পরিস্থিতিতে আমাদের থাই সেনাকে আমরা নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি দ্রুত প্রত্যুত্তর দিতে। যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, পুরোদস্তুর যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। তবে আপাতত ব্যাপারটা সংঘর্ষের মধ্যেই আছে।” এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় থাই সীমান্তসেনা কমান্ডার কম্বোডিয়ার নিকটবর্তী থাইল্যান্ডের আটটি জেলায় মার্শাল ল ঘোষণা করেছে। কারণ হিসেবে কম্বোডিয়ার সেনা থাই ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা কথা বলা হয়েছে।
এদিকে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধের মাঝে দেশবাসীর জন্য নতুন সতর্কবার্তা জারি করেছে ভারত। শুক্রবার থাইল্যান্ডের ভারতীয় দূতাবাস একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, আপাতত সাতটি প্রদেশে ভারতীয়দের না যাওয়াই উচিত।
প্রসঙ্গত, ‘এমারেলড ত্রিকোণ’ নামের একটি এলাকা নিয়ে দুই দেশের সংঘাত দীর্ঘদিনের। যেখানে কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড এবং লাওসের সীমানা মিলিত হয়েছে। উল্লেখ্য, ‘এমারেলড ত্রিকোণে’ রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন মন্দির। ওই মন্দিরগুলিকে নিয়ে সংবেদনশীল তিন দেশের সাধারণ মানুষেরা। এলাকাটির দখল নিয়ে বছর পনেরো আগেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে। নতুন করে গত মে মাসে সংঘর্ষ হয়। এবার নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে দুই দেশের সীমান্তে।