হেমন্ত মৈথিল: লক্ষ্য ২০৪৭। তার মধ্যে উত্তরপ্রদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত, প্রযুক্তিক্ষেত্রে উন্নততর রাজ্য হিসাবে গড়ে তোলার স্বপ্ন যোগী আদিত্যনাথের। তার নীল নকশা তৈরি করতে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় অধিবেশনের তৃতীয় দিনে ‘ভিশন ২০৪৭’ নিয়ে শুরু হল আলোচনা। আর্থিক, সামাজিক পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে বুধবার থেকে ২৪ ঘণ্টা অধিবেশনে আলোচনা শুরু করেন।
উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেন, “২০১৭ সালের আগে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা ছিল না বললেই চলে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের ছত্রছায়ায় অপরাধীদের সংখ্যা বেড়েছে। তবে আজ রাজ্যের চেহারাই যেন বদলে গিয়েছে। ৭৫টি জেলার মধ্যে ফোর লেন রাস্তা, বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। শুধু তাই নয়, গম, চিনি এবং দুধ উৎপাদনেও দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে এই রাজ্য। স্বাস্থ্যব্য়বস্থারও উন্নতি হয়েছে। রায়বরেলি, গোরক্ষপুরে এইমস তৈরি হয়েছে। ৫ হাজার ২৫০টি এমবিবিএস আসন বেড়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৫.৫ কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মশাবাহিত রোগও নিয়ন্ত্রণে। আশা করা যায়, আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে টিবি, ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য জলবাহিত রোগও সম্পূর্ণ নির্মূল হবে। প্রতিটি এলাকায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরি হবে। সেখানে ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন, ক্যানসার-সহ নানা রোগের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হবে। এছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবে কীভাবে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে, সে সম্পর্ক সচেতনতা শিবিরের বন্দোবস্ত করা হবে।”
অর্থমন্ত্রী সুরেশ খান্না বলেন, “গত ৮ বছরে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও উত্তরপ্রদেশের উন্নতি হয়েছে। জিএসডিপি ২৯.৮৭ কোটি ছুঁয়েছে। ৪০ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। পূর্বাঞ্চল এবং বুন্দেলখণ্ডে শিল্পায়ন হবে। আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে দারিদ্র্য দূরীকরণ, আইটি হাব তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সোলার এনার্জি রিসার্চ-সহ নানা কাজই চলছে। কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে চলছে নানা গবেষণা। এআইয়ের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। জলশক্তি মন্ত্রী স্বতন্ত্র দেব সিং বলেন, “আমাদের রাজ্য রাষ্ট্রীয় জল পুরস্কার পেয়েছে। আরও উন্নয়ন হবে।” বিদ্যুৎ পরিষেবার ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে বলেই দাবি মন্ত্রী এ কে শর্মার। আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের আরও উন্নতি বলেই আশা।