হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: লক্ষ্য ১ ট্রিলিয়ন অর্থনীতি। উত্তরপ্রদেশে এবার ডিজিটাল আর্থিক শুমারি করবে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। জানা গিয়েছে এমনই খবর। লক্ষ্যপূরণে নানা নির্দেশ দিয়েছেন যোগী। এই কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে হাজার হাজার গণনাকারী ও সুপারভাইসারকে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মেয়েদের অংশগ্রহণেও।
কীভাবে হবে ২০২৫-২৬ আর্থিক বর্ষের ডিজিটাল সেনসাস? এর সুস্পষ্ট রূপরেখা তৈরি করেছে যোগীর প্রশাসন। আর্থিক শ্রেণি অনুযায়ী সঠিক জনগণনার জন্য বিশেষ ওয়েবভিত্তিক মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। যাতে নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায়। ‘রিয়েল টাইম’ তথ্য যাচাইকরণ, পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, শ্রমিক এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বর্তমান অবস্থার মূল্যায়ন হবে। যার ফলে সরকারি স্কিমগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে।
মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে অষ্টম আর্থিক শুমারির জন্য ১৭ হাজার গণনাকারী ও ৬ হাজার পরিদর্শককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জনগণনার কাজে যাতে বেশি করে মহিলারা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন সেদিকেও নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের লক্ষ্য, এইভাবে সঠিক তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে সকল শ্রেণির মানুষের উন্নতি সাধন এবং রাজ্যব্যাপী নানা কল্যাণমূলক স্কিম তৈরি করা। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ শুমারিকে কেবলমাত্র তথ্য সংগ্রহের অনুশীলন হিসাবে নয় বরং আর্থিক উন্নতির একটি হাতিয়ার হিসাবেই দেখছেন।
শুমারির মাধ্যমে যাতে কর্মসংস্থান হয় সেদিকেও নজর দিয়েছে যোগী সরকার। ডিজিটাল আর্থিক শুমারির জন্য বহু-স্তরীয় মনিটরিং সিস্টেম তৈরি করা হচ্ছে। এই জন্য জেলা শাসক, জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এবং একটি আইটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করা হয়েছে। আইটি বিশেষজ্ঞরা উন্নত ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে তথ্যের নির্ভুলতা এবং সত্যতা নিশ্চিত করবেন। এর সাহায্যে গ্রামীণ এলাকা ও শহরের মধ্যে অর্থনৈতিক ব্যবধান দূর করা যাবে।
এছাড়া জোর দেওয়া হয়েছে গ্রামীণ এলাকার যুবকদের জন্য কাজের সুযোগ করে দেওয়ার উপর। গত সাড়ে সাত বছরে যোগী সরকারের শাসনে উত্তরপ্রদেশের প্রভুত উন্নতি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা, পরিকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে এই রাজ্যটি। এবার যোগীর লক্ষ্য, উত্তরপ্রদেশকে আর্থিক উন্নতির অন্য শিখরে নিয়ে যাওয়া। সেই জন্য তিনি সার্বিকভাবে কাজে লাগাচ্ছেন ডিজিটাল প্রযুক্তিকে।