স্টাফ রিপোর্টার: দু’জনের ‘দ্বৈরথ’ মোটামুটি দু’দশকের পুরনো ইস্যু। তবে আজও সেই ইস্যুতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তর্ক চলে বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সাধারণ ফুটবল ভক্তদের। সকলেই একটার পর একটা শাণিত যুক্তিতে ছারখার করে দিতে চান প্রতিপক্ষের বক্তব্যকে। ঠিক যেভাবে সেই দুই মহাতারকা এখনও ছিন্নভিন্ন করেন প্রতিপক্ষকে, মাঠের ভেতরে।
কারা সেই দু’জন? বুঝতে পারার জন্য কোনও পুরস্কার নেই। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং লিওনেল মেসি। ফুটবল বিশ্ব আজও দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় এই দুই নামের দ্বন্দ্বে। তবে লিওনেল মেসি সরাসরিই জানিয়ে দিয়েছেন, মাঠের বাইরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে দন্দ্ব নেই তাঁর।
“ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর প্রতি আমার প্রচুর শ্রদ্ধা এবং মুগ্ধতা রয়েছে। বিশেষত ওর যা কেরিয়ার এবং যেভাবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ও এখনও খেলে চলেছে, তার জন্য। ওর সঙ্গে লড়াইটা মাঠে হয়। আমরা দু’জনেই নিজ নিজ দলের জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি সবসময়। কিন্তু প্রতিবারই যাবতীয় দ্বন্দ্ব আমরা মাঠেই ছেড়ে এসেছি। মাঠের বাইরে আমরা আর পাঁচজনের মতোই রক্ত-মাংসের মানুষ। আমরা একসঙ্গে খুব বেশি সময় কাটাইনি, ফলে বলার মতো বন্ধুত্ব আমাদের নেই। তবে আমাদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্কটা সবসময়ই পারস্পরিক শ্রদ্ধার,” বলেছেন মেসি।
বৃহস্পতিবার রাতে ক্লাব বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়েছে মেসির ইন্টার মায়ামি। আটলান্টায় মার্সিডিস বেঞ্জ স্টেডিয়ামে পোর্তোর বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জিতেছে তারা। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে কোনও ইউরোপীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে কোনও মার্কিন ক্লাবের এটাই প্রথম জয়। নিজের ৬৮তম ফ্রি-কিক গোল করার পথে পোর্তো গোলকিপার ক্লদিও র্যামোসকে নড়তেই দেননি মেসি। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে তাঁর নেওয়া শট বাঁক খেয়ে গোলপোস্টের কোনা দিয়ে গিয়ে জালে জড়িয়ে যায়।
ফ্রি-কিকটা মারার সময় কী ভাবছিলেন মেসি? “ফ্রি-কিক নেওয়ার সময় দেখি যে গোলকিপার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে। আর জায়গাটা গোলের থেকে বেশি দূরে ছিল না। ওকে টপকে যাওয়াটা কঠিন হবে জানতাম। ফলে ও যে জায়গাটা ফাঁকা রেখেছিল, সেটা কাজে লাগানোই আমার পরিকল্পনা ছিল। কারণ ও একটু মাঝের দিকে ছিল। দু’টো পোস্ট ও সেভাবে কভার করেনি। আমি সেইমতো বলটা রাখতে চেয়েছিলাম,” ম্যাচ শেষে শুনিয়ে গিয়েছেন মেসি। আপাতত গ্রুপের শেষ ম্যাচে পালমেইরাসের বিরুদ্ধে জিতে নকআউটের টিকিট পাওয়াই লক্ষ্য ইন্টার মায়ামি অধিনায়কের।