‘রেকর্ড পদক না পেলে দেশে অলিম্পিক আয়োজন অর্থহীন’, শহরে এসে একান্ত সাক্ষাৎকারে অকপট মনু

‘রেকর্ড পদক না পেলে দেশে অলিম্পিক আয়োজন অর্থহীন’, শহরে এসে একান্ত সাক্ষাৎকারে অকপট মনু

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


অরিঞ্জয় বোস: প্যারিস অলিম্পিকে শুটিংয়ে জোড়া পদক বদলে দিয়েছে তাঁর চেনা পৃথিবী। ব্যর্থতার অন্ধকার কাটিয়ে এখন সাফল্যের সরণিতে মনু ভাকের। তাঁকে ঘিরেই এখন ভারতীয় শুটিংয়ের আগামীর স্বপ্ন বেঁচে। প্যারিসের সাফল্য তাঁকে পরিণত করেছে, সঙ্গে বাড়িয়ে দিয়েছে সোনা জয়ের তৃষ্ণাও। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে উঠে এল সেই সব অনুভূতি।

প্রশ্ন: ২০২৩-এর পর ২০২৫। প্রায় দু’বছর পর আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হচ্ছে। এই দু’বছরে অনেক সাফল্যে অর্জন করেছেন আপনি। অলিম্পিকের মঞ্চে পদক জয় করেছেন। সেই সাফল্যের স্বাদ জীবনে কতটা বদল আনতে সমর্থ হল?

মনু: (হেসে) আমি কতটা বদলেছি, সেটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। সেটা আমাকে যারা নিয়মিত দেখছেন, তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে এটা ঠিক, অলিম্পিকের মঞ্চে পদক জয় করা আমার স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন প্যারিসে পূর্ণ হয়েছে। প্যারিস অলিম্পিকে সোনা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই নেমেছিলাম। সেই স্বপ্নপূরণ না হলেও সোনা জয়ের তাগিদ এখনও একই রকম আছে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগোতে চাই। এটা ঠিক, প্যারিস অলিম্পিকের সাফল্য আমাকে পরিণত করেছে। কোনও প্রতিযোগিতা কিংবা ট্রেনিং, এমনকী কোনও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে এখন আর বিচলিত হই না। তার কারণ, আগের চেয়ে আমি এখন অনেক বেশি ধৈর্যশীল, অনেক বেশি শান্ত।

প্রশ্ন: প্যারিস অলিম্পিক্সের শুটিং-এ জোড়া পদক জয়ের পর আপনার সাফল্যে উদ্বেল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। প্রথম পদক জয়ের পর আপনার কী অনুভূতি হচ্ছিল?

মনু: প্যারিসে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে যেদিন ব্রোঞ্জ লাভ করি, ঠিক তার পরের দিনই ছিল টিম ইভেন্টের ম্যাচ ছিল। সেখানেও আমাদের সামনে পদক জয়ের সুযোগ ছিল। কীভাবে আরও একটা পদক দেশের জন্য জিততে পারি, সেই ভাবনাটাই কাজ করছিল। পুরোপুরি সোশাল মিডিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে ছিলাম। প্রথম পদক জয়ের পর মনে হয়েছিল, ইটস ওকে! এবার পরের ম্যাচের কথা ভাবতে হবে। পরেরটা জেতার পর নেক্সট ম্যাচ। এই ভাবে নিজেকে মানসিক ভাবে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি প্রতিটি ম্যাচে নিজের সেরাটা দেওয়ার। আমার মনে আছে, ২৫ মিটার এয়ার পিস্তলে আমি চতুর্থ হয়েছিলাম। ফলে একটা মিশ্র অনুভূতি মনে কাজ করছিল। যেহেতু ছন্দে ছিলাম, মনে হচ্ছিল, আরও ভালো পারফর্ম করা যেত। সেই আফসোসটুকু এখনও রয়েছে। প্যারিস অলিম্পিক এখন অতীত। এখন সামনের দিকে তাকাতে চাই। আমি নিজে কর্মফলে প্রচণ্ড বিশ্বাস করি। মনে করি, যেমন কাজ, তেমন ফল। কেরিয়ারে সাফল্য পেতে যতটা এফোর্ট আমরা দেব, সেটাই কিন্তু আমাদের লক্ষ্যের কাছে পৌঁছতে সাহায্য করবে।

প্রশ্ন: ২০৩৬ অলিম্পিক ভারতবর্ষে আয়োজন করার কথা ভাবা হচ্ছে। সে বিষয়ে আপনার মত কী?

মনু: ২০৩৬ অলিম্পিক নিয়ে আমার মত হল, আগে অ্যাথলিটরা আরও পদক পাক প্রথমে। ভারত আগে অলিম্পিক জায়ান্ট হিসেবে পরিণত হোক। তার পর না হয় দেশে অলিম্পিক আয়োজনের কথা ভাবা যাবে। রেকর্ড পদক না পেলে অলিম্পিক আয়োজন অর্থহীন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *