রুশ বোমায় এক সেকেন্ডে শেষ তিন প্রজন্ম, মায়ের সঙ্গে কবরে ছোট্ট অ্যাডাম, পাশে শায়িত দিদিমাও

রুশ বোমায় এক সেকেন্ডে শেষ তিন প্রজন্ম, মায়ের সঙ্গে কবরে ছোট্ট অ্যাডাম, পাশে শায়িত দিদিমাও

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোরস্থানের একটি কবরে রাখা ছোট-বড় নানা টেডি বিয়ার। সঙ্গে রয়েছে অন্যান্য খেলনাও। এরাই তো ইউক্রেনের জাপোরিঝজিয়া শহরের গোরস্থানে ছোট্ট অ্যাডামের সঙ্গী। না সতেরো মাসের শিশুটি একা নেই। তার সঙ্গে একই কবরে শায়িত রয়েছে মা সোফিয়াও। পাশেই কবর দেওয়া হয়েছে অ্যাডামের প্রমাতামহী টেটিয়ানা। তাঁরা সকলেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বলি। এক সেকেন্ডের মধ্যেই তিন প্রজন্ম প্রাণ হারায় রুশ বোমায়। 

এই ঘটনা গত বছরের ৭ নভেম্বরের। তারপর থেকে জীবনটাই বদলে গিয়েছে ইউলিয়া টারাসেভিচের। কারণ এক সঙ্গে তিনি হারিয়েছেন মা, মেয়ে ও নাতিকে। এখন শুধু স্মৃতি আঁকড়েই বেঁচে রয়েছেন তিনি। সেদিনের পর থেকে ওই কবরস্থানে গিয়ে হাতরে বেড়ান সকলকে। বিবিসি সূত্রে খবর, নাতির শেষ একটি ভিডিও রয়েছে গিয়েছে ইউলিয়ার কাছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সোফিয়া ও টেটিয়ানার সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়েছিল ছোট্ট অ্যাডাম। গায়ে লাল জ্যাকেট আর মাথায় টুপি। সেই টুপি বার বার খোলার চেষ্টা করছিল সে। আর টেটিয়ানা বলেছিলেন, “ওটা খুলো না, তোমার ঠান্ডা লেগে যাবে।” তারপর তিনজনে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। বসেছিলেন খাবার টেবিলে। কিন্তু খাওয়ার আগেই সব শেষ। একের পর এক রুশ বোমা আছড়ে পড়ে তাঁদের আবাসনে। আরও ছজনের সঙ্গেই প্রাণ হারান ওই তিন জন।

কিন্তু সেই ‘অভিশপ্ত’ দিন ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছেন ইউলিয়া। সেদিন তিনি কাজের জন্য অন্য শহরে ছিলেন। কিন্তু ফোনে বারাবার মেয়ে সোফিয়াকে সাবধান করে ছিলেন যে, সকাল থেকে বোমা পড়ছে শহরে। কিন্তু সোফিয়া বলেছিলেন, “চিন্তা করো না। আমরা সাবধানেই আছি।” ওটাই মেয়ের সঙ্গে শেষ কথা ইউলিয়া। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে গোলা ধরে আসছিল তাঁর। চোখের জল মুছে শুধু একটাই প্রশ্ন করলেন, “এখন আমি বাঁচব কীভাবে?” আগামী ফেব্রুয়ারিতেই তিন বছর পূর্ণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। কিন্তু এখনও কোনও রফাসূত্র মেলেনি এই সংঘাতের। প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যুদ্ধের বলি অ্যাডামের মতো হাজার হাজার নিষ্পাপ শিশুরাও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *