বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ ফেলে সম্মুখসমরে নামল ইন্ডিয়া জোট। বৃহস্পতিবার সকালে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীকে পাশে নিয়ে মনোনয়ন জমা দেন তিনি।
বুধবার এনডিএ-র শক্তি প্রদর্শনের পরে বৃহস্পতিবার একই পথে হাঁটল ইন্ডিয়া জোট। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে রেড্ডির সঙ্গে ছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রাম গোপাল যাদব, ডিএমকে সাংসদ ত্রিচুরি শিবা, শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ সঞ্জয় রাউত এবং ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য নেতারা।
নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই, দল নির্বিশেষে সমর্থন পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন রেড্ডি। এই নির্বাচনকে সংখ্যার উপরে উঠে আদর্শের প্রতিযোগিতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে তিনি বলেন, “সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ… অবশ্যই, আমি আশাবাদী। যেহেতু আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নই, তাই আমার বিশ্বাস সবাই আমাকে সমর্থন করবে… আমি গতকালই স্পষ্ট করে বলেছি। এটি আদর্শের লড়াই।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বুধবার উপরাষ্ট্রপতি পদের মনোনয়ন জমা দেন এনডিএ প্রার্থী চন্দ্রপুরম পোন্নুসামি রাধাকৃষ্ণণ। শুধু মোদিই নন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে এদিন ‘সংঘ ঘনিষ্ঠ’ রাধাকৃষ্ণণের মনোনয়ন পেশে কার্যত শক্তি প্রদর্শন করে বিরোধীপক্ষকে বার্তা দেয় শাসক জোট।
তবে এই প্রার্থীকে ঘিরে চন্দ্রবাবু নায়ডুদের খানিকটা অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, এনডিএ জোটের প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছে টিডিপি। আবার বিরোধীদের প্রার্থী তাদের নিজেদের রাজ্য অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। ফলে তাঁকে সমর্থন প্রত্যাশিত। সবমিলিয়ে নিজেদের অবস্থান নিয়ে ধন্দে চন্দ্রবাবু নায়ডুরা।