সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর অভিযোগের ভিত্তিতে নয়। অনলাইনে ভোটার ডিলিট করার নিয়মে বদলের পরিকল্পনা ছিল মাস খানেক আগেই। এমনটাই দাবি নির্বাচন কমিশন সূত্রের।
অনলাইনে আবেদন করে ভোট মুছতে চাইলে, ভোট নথিভুক্ত করাতে চাইলে বা কোনওরকম সংশোধন করাতে চাইলে ই-সাইন বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে বাধ্যতামূলক আধার কার্ড সংযুক্ত ফোন নম্বর। মঙ্গলবার থেকে নতুন নিয়ম চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। আগে অনলাইনে ভোট ডিলিট করা বা সংশোধন করার আবেদন করতে হলে শুধু মাত্র এপিকের সঙ্গে সংযুক্ত ফোন নম্বর প্রয়োজন পড়ত। ওই ফোন নম্বরের কোনওরকম ভেরিফিকেশন হত না। সোমবার পর্যন্তও ওই নিয়ম চালু ছিল।
মঙ্গলবারই নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। মজার কথা হল, ওয়েবসাইট আপডেট হলেও কমিশনের তরফে এই সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। অর্থাৎ একপ্রকার নীরবেই কমিশন ভোট ডিলিট করার প্রক্রিয়া আগের চেয়ে সুরক্ষিত করেছে। কংগ্রেসের দাবি, রাহুল গান্ধী আলন্দ বিধানসভায় ভোটচুরির অভিযোগ আনার পরই কমিশনের এই বদল। রাহুল নিজেও সোশাল মিডিয়ায় এ নিয়ে কমিশনকে কটাক্ষ করেছেন। বিরোধী দলনেতা বলছেন, “জ্ঞানেশ কুমার জি আমরা চুরি ধরিয়ে দেওয়ার পর আপনি তালা লাগালেন। এবার চোরও আমরাই ধরিয়ে দেব।”
যদিও নির্বাচন কমিশনের এক সূত্র এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এই নিয়ম বদলের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর অভিযোগের কোনও সম্পর্ক নেই। একমাস আগে থেকেই কমিশন এ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছিল। কমিশন এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এ নিয়ে কাজও করছিল। অবশেষে ওয়েবসাইটটি আপডেট করা হয়েছে। কংগ্রেসের দাবির কোনও সারবত্তা নেই। তাছাড়া রাহুল যে অভিযোগ করেছেন সেগুলির জবাবও কমিশন দিয়েছে।