রাষ্ট্রপতিকে ‘অপমান’! সোনিয়ার ‘গরিব’ মন্তব্যে রেগে আগুন মোদি

রাষ্ট্রপতিকে ‘অপমান’! সোনিয়ার ‘গরিব’ মন্তব্যে রেগে আগুন মোদি

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের পর তাঁকে ‘বেচারি’ ও ‘ক্লান্ত’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। এই মন্তব্যে এবার রেগে আগুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোনিয়ার মন্তব্য রাষ্ট্রপতিতো বটেই গোটা দলিত সমাজকে অপমান বলে পালটা সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী।

বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুর্মুকে কটাক্ষ করেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, “ভাষণ দেওয়ার সময় ওনাকে অত্যন্ত ক্লান্ত লাগছিল। শেষের দিকে তো অনেক কষ্ট করে কথা বলছিলেন উনি। বেচারি মহিলা (poor girl)।” পাশাপাশি সোনিয়া পুত্র রাহুলও কটাক্ষ করেন রাষ্ট্রপতিকে। তিনি বলেন, “তাঁর ভাষণে কথা বড্ড বেশি ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা ছিল অন্তঃসারশূন্য ও একঘেয়ে। একই কথা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বার বার বলা হয়েছে।”

এই মন্তব্যের পালটা শুক্রবার দিল্লির এক জনসভা থেকে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন মোদি। তিনি বলেন, “এদিন সংসদে আমাদের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ভাষণ দিচ্ছিলেন। যেখানে বিকশিত ভারত, বিশ্বগুরু ভারতের কথা বলছিলেন রাষ্ট্রপতি। উনি ওড়িশার আদিবাসী পরিবার থেকে উঠে আসা মানুষ। ওড়িয়া ওনার মাতৃভাষা। হিন্দিতে দক্ষ না হলেও সুন্দরভাবে তিনি ভাষণ দিয়েছেন। তাঁকে এই শাহি পরিবার অপমান করছে। একজন বলেছেন আদিবাসী রাষ্ট্রপতি ‘বোরিং’ ভাষণ দিয়েছেন। আর একজন তো আরও একধাপ এগিয়ে তাঁকে ‘পুওর থিংক’ বলেছেন। আমাদের রাষ্ট্রপতিকে ‘গরিব’, ‘ক্লান্ত মহিলা’ বলে অপমান করেছেন। ‘বস্তু’ বলে কটাক্ষ করেছেন।”

একইসঙ্গে তিনি বলেন, “একজন আদিবাসীর বক্তব্য এদের কাছে বোরিং লাগে। এটা দেশের সব আদিবাসীর অপমান। মাটি থেকে কেউ উঠে আসলে কংগ্রেসের তা পছন্দ হয় না। তাঁকে পদে পদে অপমান করে। এরা আনন্দ পায় বিদেশে ভারতকে অপমান করে। আরবান নকশালদের গুণগান করতে এরা ভালোবাসে। এদের অবিলম্বে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের তপসিলি জাতি, উপজাতি ও ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”

এদিকে সোনিয়া গান্ধীর মন্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হতেই এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেন, ”মনে রাখতে হবে আমার মায়ের বয়স ৭৮ বছর। তিনি সহজভাবে বলেছেন রাষ্ট্রপতি দীর্ঘ ভাষণ দিয়েছেন তিনি অবশ্যই ক্লান্ত। এই সামান্য মন্তব্যকে বিকৃতভাবে দেখানো হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। উনি রাষ্ট্রপতিকে সম্মান করেন। এঁরা দুজনই বরিষ্ঠ এবং আমাদের চেয়ে বয়সে অনেক বড়। তাঁর বক্তব্যে কোনও অপমান ছিল না। সবার প্রথমে বিজেপির ক্ষমা চাওয়া উচিত বক্তব্যকে বিকৃত করার জন্য।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *