সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিনে দফায় দফায় রুশ মার সহ্য করার পর এবার প্রত্যাঘাত ইউক্রেনের। রাশিয়ার সবচেয়ে বড় তৈল শোধনাগার কিরিশিতে ভয়ংকর হামলা চালাল ইউক্রেন। একসঙ্গে ওই শোধনাগারে হামলা চালায় ৩৬১টি ড্রোন। রবিবার হামলার কথা স্বীকার করে নিয়ে রাশিয়ার তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ওই হামলায় হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, দেশের প্রধান দুটি তেল শোধনাগারের মধ্যে একটি এই কিরিশি। শনিবার রাতে এখানেই ড্রোন হামলা চলে। রাশিয়ার লেনিনগ্রাদ প্রদেশের গভর্নর আলেকজান্ডার দ্রোজডেনকো জানান, কিরিশিতে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে তারা। হামলার পর শোধনাগারে আগুন লেগে গিয়েছিল। সেটাও নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। হামলায় হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। হামলার পর ইউক্রেনের এক সেনাকর্তা জানান, ঘটনাস্থলে ব্যাপক বিস্ফোরণ ও আগুনের খবর পাওয়া গিয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলের একটি ছবি প্রকাশ করেছেন যেখানে দেখা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে দাউদাউ করে জ্বলছে তেল শোধনাগার।
কিরিশি শোধনাগার বছরে প্রায় ১ কোটি ৭৭ লাখ মেট্রিক টন (৩ লাখ ৫৫ হাজার ব্যারেল প্রতিদিন) রুশ অপরিশোধিত তেল প্রক্রিয়াজাত করে, যা দেশের মোট উৎপাদনের ৬.৪ শতাংশ। সেখানে ইউক্রেনের এই হামলা রাশিয়ার জন্য বড় ক্ষতি বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ইউক্রেনের হামলার পর একাধিক ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা। যার মধ্যে রয়েছে ৪টি আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপকারী বোমা ও একটি আমেরিকার তৈরি হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্র। যদিও কোথায় সেগুলি ধ্বংস করা হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ চেষ্টার পরও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর কোনও দিশা খুঁজে পাচ্ছে না আমেরিকা। এই অবস্থায় ভারতকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গোটা ঘটনার দায় ভারতের উপর চাপিয়ে তিনি দাবি করেছেন, ভারত তেল কেনার জেরেই যুদ্ধের মেশিন সচল রয়েছে রাশিয়ার। চাপানো হয়েছে ৫০ শতাংশ শুল্ক। যদিও ভারত আমেরিকার অভিযোগ উড়িয়ে পালটা জানিয়েছে রুশ পণ্যের সবচেয়ে বড় গ্রাহক ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আমেরিকাও পণ্য আমদানি করে রাশিয়া থেকে। এই অবস্থায় ন্যাটো দেশগুলির কাছে ট্রাম্প আর্জি জানিয়েছেন রাশিয়ার উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর। এহেন অবস্থার মাঝেই এবার রাশিয়ার তেল শোধনাগারে হামলা চালাল ইউক্রেন।