সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামলালার প্রসাদ নিয়েও দুর্নীতিচক্র! অযোধ্যার রামমন্দিরের প্রসাদ নিয়ে বিপুল অঙ্কের এই জালিয়াতির পর্দাফাঁস করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। বলা বাহুল্য, দুর্নীতি চলেছে অনলাইন মাধ্যমে। যার মোট পরিমাণ দশ কোটি টাকারও বেশি। কীভাবে হয়েছে এতবড় জালিয়াতি?
গত বছর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা দেখেছিল গোটা ভারত। অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ও উদ্দিপনাকে কাজে লাগান গাজিয়াবাদের বাসিন্দা আশিস সিং। khadiorganic.com নামের একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করেন তিনি। ওই ওয়েবসাইটে অর্ডার দিলেই ‘রামলাল্লা’র প্রসাদ বাড়িতে পৌঁছে যাবে বলে জানানো হয়েছিল। প্রসাদের পাশাপাশি মন্দিরের রেপ্লিকা, কয়েনও বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল ওয়েবসাইটে। যদিও সবটাই ছিল ভুয়ো।
নিজেকে সিয়াটলের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বলে রামভক্তদের সঙ্গে তঞ্চকতা করেন আশিস। প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার খরচ হিসাবে প্রবাসীদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৫১ এবং ভারতীয়দের কাছ থেকে ১১ ডলার করে আদায় করেন তিনি। পুলিশের দাবি, শুধু রামমন্দিরের প্রসাদের জন্য ৩.৮৫ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। মন্দিরের রেপ্লিকা ইত্যাদি মিলিয়ে মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০.৪৯ কোটি টাকা।
ভুয়ো ওয়েবাসাইটটির বিষয়ে পুলিশকে রামমন্দির ট্রাস্টের তরফে নালিশ জানানো হয়। এরপরেই তদন্তে নামে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। তাতেই মিলল সাফল্য। ওয়েবসাইটটি ভুয়ো নিশ্চিত হওয়ার পর মূলচক্রী আশিষ সিংয়ের গ্রেপ্তারির অপেক্ষায় ছিলেন তদন্তকারীরা। যেহেতু তিনি আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি ভারতে পৌঁছান আশিস। বিমানবন্দরেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও পর্যন্ত ২.১৫ কোটি টাকা তাঁর থেকে উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ৩ লক্ষ ৭২ হাজার ৫২০ প্রতারিতদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।