সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশঙ্কে একেরপর এক বাউন্সারে বিধ্বস্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। ভোটচুরির অভিযোগ তুলে কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন রাহুল। বিজেপি-র সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগে বিদ্ধ কমিশন এখনও রাহুলের প্রশ্নবাণের জবাব দেয়নি। এদিকে একই দিনে ভোটচুরির অভিযোগকে সামনে রেখে বিহারে ‘ভোটাধিকার যাত্রা’ শুরু করবেন রাহুল। এমতবস্থায় ১৭ আগস্ট বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করবে বলে জানিয়েছে তারা। দিল্লির ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে এই সাংবাদিক সম্মেলন হবে। এই ঘোষণার পরেই জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এবার কি রাহুলকে জবাব দেবে কমিশন?
জানা গিয়েছে বৈঠকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভোটচুরির অভিযোগ। বিরোধী দলনেতার ভোটচুরির অভিযোগের পরে এটাই কমিশনের প্রথম সাংবাদিক বৈঠক। বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এই মাসের শুরুতেই শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিধানসভা ভোটের চার মাস আগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে এর কারন এবং প্রক্রিয়া নিয়ে। সংসদের বাদল অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হয়েছে।
রাহুল গান্ধী গত সপ্তাহ থেকে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটচুরি হয়েছে। তাঁর দাবি, এতে বিজেপির সুবিধা হয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার যোগ করেছে। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে এই কাজ হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা আসনে ভোট কারচুপির অভিযোগ বিতর্ক আরও বাড়িয়েছে। রাহুল গান্ধীর দাবি, এখানে ৬.৫ লক্ষ ভোটের মধ্যে এক লক্ষেরও বেশি ভোট জাল। মহাদেবপুরা বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা আসনের অংশ। ২০২৪ সালে এই আসন বিজেপি ৩২,৭০৭ ভোটে জিতেছিল। এই অভিযোগের পর কংগ্রেস অন্য আসনগুলোতেও একই অভিযোগ তুলেছে। সাম্প্রতিক এক বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেছেন, ৭০টি আসনে কংগ্রেস হেরেছে পঞ্চাশ হাজার ভোটের কম ব্যবধানে। সেখানেও ভোট জালিয়াতির ভূমিকা থাকতে পারে।
১৭ আগস্ট রাহুল গান্ধী বিহারের সাসারাম থেকে ‘ভোটাধিকার যাত্রা’ শুরু করবেন। যাত্রা চলবে ১৬ দিন। ১ সেপ্টেম্বর পাটনায় সমাবেশের মাধ্যমে যাত্রা শেষ হবে। এই যাত্রায় প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার পথ হাঁটবেন রাহুল। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট চুরির বিষয়টি তুলে ধরাই তাঁর মূল লক্ষ্য। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব ও ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্যান্য নেতাদেরও এই যাত্রায় যোগ দেবার কথা।