রাতের কলকাতায় উড়ে আসা রহস্যময় ড্রোনগুলি সম্ভবত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন! তদন্তে লালবাজার

রাতের কলকাতায় উড়ে আসা রহস্যময় ড্রোনগুলি সম্ভবত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন! তদন্তে লালবাজার

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


অর্ণব আইচ: অন্ধকারে শহরের আকাশে উড়েছিল শক্তিশালী ড্রোন। মাটি থেকে উড়ানের উচ্চতা ও ‘ফ্লাই টাইম’ বা ওড়ার সময় দেখে এমনই ধারণা পুলিশের। সেক্ষেত্রে ‘ডিজেআই’ ড্রোন ওড়ানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। সাধারণত ওই ধরনের ড্রোন চিনে তৈরি হয়। তবে ওই ধরনের কিছু ড্রোন অনুমতি নিয়ে এই দেশে ওড়ানো যেতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে সোমবার রাতে ড্রোন ওড়ানোর জন‌্য পুলিশের কাছ থেকে কেউ অনুমতি নেয়নি।

লালবাজারের অভিমত, সেগুলি যে ড্রোন, সেই ব‌্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। তাই এখনও পর্যন্ত সেগুলি রহস‌্যময় অচেনা উড়ন্ত বস্তু বা ‘ইউএফও’ বলেই গ্রাহ‌্য করছে লালবাজার। তবে কী ধরনের উড়ন্ত বস্তু, তা-ও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। সেগুলি কোনও নজরদারির কাজে লাগানো হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও। বৃহস্পতিবার লালবাজারের এক কর্তা জানান, গত সোমবার রাতে যে সাতটি ড্রোনকে দেখা গিয়েছিল, সেগুলি কারও ক্ষতি করেনি। তাই পুলিশের পক্ষে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। আবার কোনও শহরবাসীও কোনও অভিযোগ জানাননি। তবে এই ড্রোনগুলির ব‌্যাপারে তদন্ত চলছে। কারণ সেগুলি কোথা থেকে এসে কোথায় পৌঁছল, তা নিয়ে এখনও রয়ে গিয়েছে রহস‌্য।

সোমবার রাতে বন্দর এলাকা থেকে সাতটি ড্রোনকে হেস্টিংস, ময়দান, ভিক্টোরিয়া হয়ে জওহরলাল নেহেরু রোডের দু’টি বহুতলের উপর ঘুরতে দেখা যায়। এর পর পাঁচটি ড্রোন পূর্ব দিক ও দু’টি উত্তরদিকে চলে যায়। লালবাজার জানিয়েছে, যে উচ্চতা দিয়ে ড্রোনগুলি উড়েছিল, তা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রোনের পক্ষে সম্ভব। আবার দেখা হচ্ছে ড্রোনগুলির ‘ফ্লাই টাইম’ও। কারণ, সোমবার অন্তত ২৫ মিনিট ড্রোনগুলি নজরে এসেছিল। তার আগে ও পরে আরও ১৫ থেকে ২০ মিনিট অন্তত সেগুলি আকাশে ছিল বলে পুলিশের মত।

ড্রোনের ব‌্যাটারির ক্ষমতা অত‌্যন্ত বেশি না হলে সেগুলি এতক্ষণ আকাশে ওড়া সম্ভব নয়। ফলে ‘ডিজেআই’ ধরনের ড্রোন ব‌্যবহার করা হতে পারে। সেগুলি কাদের হাতে আসতে পারে, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। যেহেতু এই ধরনের ড্রোনগুলি চিনের কুয়াংদং এলাকার শেনঝেনে তৈরি হয় ও সেগুলি চিনা সামরিক বাহিনীও ব‌্যবহার করে, তাই কলকাতার এই ড্রোনগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এভাবে অনুমতিহীন ড্রোনের উপর নজর রাখতে বিশেষ স্ট্র‌্যাটেজি নেওয়া হচ্ছে ও প্রয়োজনে পুলিশের ড্রোনের সাহায্যেও নজরদারি রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছে লালবাজার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *