ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্যের সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নার নিয়মে আমূল পরিবর্তন আনল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রগুলিতে এলপিজিতে রান্না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। এজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২৮১ কোটি টাকা। সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরে কয়লার উনুনে রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক অঙ্গনওয়াডি কর্মীর। সেই ঘটনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় অধিবেশন শেষের পর একথা জানান মন্ত্রী শশী পাঁজা।
রাজ্যে ৮১ হাজার ৩২১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। সব কেন্দ্রেই এবার থেকে এলপিজি গ্যাসে রান্না হবে। ইতিমধ্যেই ৩৭ কোটি ৮১ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৫০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ ৪৬৫০ টাকা। ওভেন, সিলিন্ডার, লাইটার সবই রাজ্য সরকারের তরফে সরবরাহ করা হবে। গ্যাস সিলিন্ডার রিফিলও করবে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয় সেন্টারগুলির অগ্নিসুরক্ষার দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। যার জন্য চলতি অর্থবর্ষে ২৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
মন্ত্রীর কথায়, “এবার থেকে সব কেন্দ্রেই এলপিজি গ্যাসে রান্না হবে। যার পুরো ব্যয়বহন করবে রাজ্য সরকার।” অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বিধানসভার বাইরে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “রান্না করার সময় আমাদের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আগে কারও এইভাবে মৃত্যু হয়নি। ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত।” পাশাপাশি ওই মহিলার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের থাকা বিমার অর্থ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে কাঠের উনুনে রান্না করার সময় শাড়িতে আগুন ধরে যায় প্রায় ১৮ বছর ধরে কাজ করা ওই মহিলার। দুর্ঘটনার সময় কর্মী একাই ছিলেন। শরীরের প্রায় ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। শশী বলেন, “ওবিসি সংক্রান্ত মামলায় অঙ্গনওয়াড়িতে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ঘটনার সময় মহিলা একাই ছিলেন। সব কাজ করছিলেন। আমরা শোকাহত। আমরা ওই পরিবারের পাাশে আছি।”