সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। মাঝে পহেলগাঁও হামলার পরে এই দাবি পিছনের সারিতে চলে গিয়েছিল। এবার এই লড়াই ফের উসকে দিয়েছেন তিনি। এবার ঘরে ঘরে গিয়ে স্বাক্ষর সংগ্রহের কথা ঘোষণা করেছেন আবদুল্লা। কিছুদিন আগেই করা সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের পরেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওমরের অভিযোগ, রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রশ্নকে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত করা ঠিক নয়। এতে নির্দোষ মানুষকেই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারতের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই এক শুনানিতে বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে তা উপেক্ষা করা যাবে না।” এই মন্তব্যের পরই শ্রীনগরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ওমর আহ্বান করেন অফিসের চেয়ার ছেড়ে দিল্লির দরজায় আওয়াজ তোলার। বলেন, স্বাধীনতা দিবসে মানুষের আশা পূরণ হয়নি। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২০টি জেলাতেই এই অভিযান চালানো হবে। ওমরের দাবি, এই অভিযানের উদ্দেশ্য সুপ্রিম কোর্টকে বোঝানো জনগণের দাবিকে নিরাপত্তার চশমা দিয়ে না দেখা। আগে চিঠি, প্রস্তাব ও বৈঠকের মাধ্যমে দাবি জানানো হয়েছে। এবার গ্রামে গ্রামে পৌঁছে জনসমর্থন জোগাড় করতে হবে বলে মনে করছেন তিনি। ওমর বলেন, “এই আট সপ্তাহে আমরা জম্মু-কাশ্মীরের ৯০টি বিধানসভার প্রতিটি দরজায় কড়া নাড়ব। একটাই প্রশ্ন করব, আপনারা কি চান না জম্মু-কাশ্মীর আবার রাজ্য হোক?”
তিনি ঘোষণা করেন, সংগৃহীত স্বাক্ষর কেন্দ্র সরকার ও সুপ্রিম কোর্ট, দুই জায়গাতেই জমা দেওয়া হবে। ওমরের আশা, সব মানুষ এতে সমর্থন জানাবেন। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়েছে।
তবে ওমরের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করেছেন পিডিপি বিধায়ক ওয়াহিদ পাররা। তিনি বলেন, “ওমর আবদুল্লার উচিত ছিল স্বাক্ষর অভিযান না করে ক্ষমা চাওয়া। ৫০ বিধায়কের সমর্থন নিয়েও তিনি রাজ্যের মর্যাদার লড়াইকে প্রহসনে পরিণত করেছেন। এটা বিশ্বাসঘাতকতা।”