সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুন নাকি আত্মহত্যা? নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু? পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আয়েষা খানের মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্নের ভিড়। করাচির বাড়ি থেকে ছিয়াত্তর বছর বয়সি অভিনেত্রীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, মৃত্যুর কমপক্ষে সপ্তাহখানেক পর তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অনুরাগীরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দিনসাতেক তাঁকে আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা এরপর অভিনেত্রীর দেহ উদ্ধার করেন। তাঁর দেহ জিন্না পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল সেন্টারে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে একাধিক শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন অভিনেত্রী। সে কারণে প্রচারের আলো থেকে নিজেকে কিছুটা সরিয়ে রেখেছিলেন। আচমকা অভিনেত্রীর মৃত্যু ঘিরে হাজারও রহস্যের জট। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ অভিনেত্রীর আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলছে। যদি পুলিশ সূত্রে খবর, অভিনেত্রীর মৃত্যু স্বাভাবিক বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
প্রসঙ্গত,১৯৪৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জন্ম আয়েষা খানের। তাঁর দিদি খালিদা রিয়াসাত। একসময় পাক টেলিদুনিয়ায় রাজত্ব করেছেন তিনি। আয়েষা খাতুনেরও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। ‘টিপু সুলতান: দ্য টাইগার লর্ড’, ‘দেহলিজ’, ‘মুসকান’, ‘ফতিমা’য় কাজ করেছেন তিনি। ‘রাজু বন গয়া জেন্টলম্যান’-এর মতো জনপ্রিয় ভারতীয় ছবিতেও কাজ করেছেন আয়েষা। তবে গত কয়েকবছর বিনোদুনিয়ার লাইমলাইট থেকে একেবারে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর এহেন মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অনুরাগীরা। মন ভালো নেই তাঁর সঙ্গে কাজ করা বিনোদুনিয়ার কলাকুশলীদেরও।