নন্দন দত্ত, বীরভূম: ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের কয়েকঘণ্টা আগে বীরভূমে খুন তৃণমূল নেতা। শনিবার সন্ধ্যা ৮টা নাগাদ বোমা মেরে খুন করা হয় মল্লারপুরের তৃণমূল নেতা বাইতুল্লাহ শেখকে। সেই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এই ঘটনার পর শনিবার রাতেই বিশাল বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ। একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। তারপর রাতেই একজনকে আটক করা হয়। বর্তমানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ কর হচ্ছে। সূত্রের খবর, আরও কয়েকজনের উপর নজর রাখছেন তদন্তকারীরা। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে খবর। ঘটনার আসল কারণ জানার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে নাকি, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে তাও জানার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় একটি পুকুরপাড়ে বসে ২১ জুলাইয়ের সভায় যাওয়া নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধক্ষ বাইতুল্লাহ শেখ। সেই সময় হঠাৎ পিছন থেকে এসে তিনটি বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত হন তৃণমূল নেতা-সহ আরও দু’জন। তিনজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা বাইতুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দু’জন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইতুল্লাহ শেখএলাকায় যথেষ্ট পরিচিত মুখ ছিলেন। তাঁর স্ত্রী বর্তমানে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। বিষিয়াগ্রামে ওই তৃণমূল নেতার যথেষ্ট প্রভাব ছিল। এদিকে তৃণমূল নেতার খুনের পর এলাকায় যথেষ্ট আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে সাইথিয়া থানা এলাকায় তৃণমূল নেতা পীযূষ ঘোষও খুন হন। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর রয়েছে জেলায়। এরইমধ্যে বীরভূমে বোমা মেরে খুন করা হল আরও এক তৃণমূল নেতাকে। জেলায় দুই তৃণমূল নেতা খুনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মযূরেশ্বরের বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের অভিযোগ, এই কাজের সঙ্গে সিপিএমের হার্মাদবাহিনী জড়িত রয়েছে। দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন তিনি।