রঙের উৎসবে সুরার ফোয়ারা! পুরুলিয়ায় দোল-হোলিতে ১১ কোটির মদ বিকিকিনি

রঙের উৎসবে সুরার ফোয়ারা! পুরুলিয়ায় দোল-হোলিতে ১১ কোটির মদ বিকিকিনি

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: রঙের ফোয়ারার সঙ্গে পুরুলিয়ায় পাল্লা দিল মদের ফোয়ারাও! ঝাড়খণ্ড ছুঁয়ে থাকা এই জেলায় দোল-হোলিতে রেকর্ড মদ বিক্রি হল। ছাপিয়ে গেল রঙের দিনে গতবারের বিক্রিবাটার রেকর্ডও। ২০২৪-র দোল-হোলিতে এই জেলায় বিয়ার, ফরেন লিকার, দেশি মদ মিলিয়ে ৮ কোটির বেশি টাকার রাজস্ব আসে। সেই জায়গায় এবার তিন কোটি বেশি হয়ে ১১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা এই জেলার নিরিখে দোল-হোলির উৎসবে রেকর্ড।

পুরুলিয়া জেলা আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর রঙের উৎসবের চেয়ে এবার মদ বিক্রির নিরিখে ২৩.২১ শতাংশ রাজস্ব বেশি ঢুকেছে সরকারের ঘরে। পুরুলিয়ার আবগারি দপ্তরের সুপারিনটেনডেন্ট অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, “এবার রঙের উৎসবে রেকর্ড মদ বিক্রি হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার রঙের দিনে ২৩.২১ শতাংশ বেশি রাজস্ব মিলেছে।”

রঙের উৎসবের মতো গত দুর্গাপুজাতেও এই জেলায় ভালো মদ বিক্রি হয়। কিন্তু এবার দোল-হোলিতে যেভাবে মদের ফোয়ারা উড়েছে তাতে আবগারি দপ্তরের কর্তারাও খানিকটা অবাক। আসলে শুধু এই জেলার মানুষজন নন। দোল-হোলিতে পলাশ দেখতে এবার জেলায় বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসেছিলেন। রঙের উৎসবে সাধারণভাবে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে যে মদ বিক্রি হয় এবার তার চেয়ে ঢের বেশি। আবগারি দপ্তরের হিসাব বলছে, গত দুর্গাপুজোয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে যে মদ বিক্রি হয় এবার দোল-হোলিতে তা ছাপিয়ে গিয়েছে। তবে গত পুজোয় এই জেলায় সেভাবে পর্যটক আসেননি।

গত বছর রঙের উৎসবে এই জেলায় বিয়ার যে পরিমাণ বিক্রি হয়েছে এবার তার চেয়ে ২৩.৩৪ শতাংশ বেশি। ফরেন লিকারের ক্ষেত্রেও আরও বেশি। আবগারি দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী ২৪.৯৪ শতাংশ। একই ভাবে দেশি মদের ক্ষেত্রেও গতবার রঙের দিনে যা বিক্রি বাটা হয় তার চেয়ে ১৭.৩৫ শতাংশ বেশি। পুরুলিয়া জেলা ফরেন লিকার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোহিত লাটা বলেন, “সাধারণত আমাদের জেলায় দুর্গা পুজোতেই সবচেয়ে বেশি মদ বিক্রি হয়। এবার পুরুলিয়া শহরে দুর্গাপুজার সঙ্গে রীতিমত পাল্লা দিয়েছে দোল-হোলির উৎসবে মদ বিক্রি। পুজোর সময় পুরুলিয়া শহরের নামকরা কাউন্টারগুলি থেকে এক দিনে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার মত মদ বিক্রি হয়। এবার দোল-হোলিতে তাই হয়েছে। ” অথচ শুক্রবার বিধি অনুযায়ী দোলের দিন প্রথমার্ধের পর মদের দোকান খোলে। এবার পর্যটন কেন্দ্র গুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছিলেন অযোধ্যা পাহাড়ে। এই পাহাড়ে বর্তমানে তিনটি বার রয়েছে। ফলে দুপুর থেকেই ওই বারগুলিতে মদের ফোয়ারা ওড়ে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *