সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘রক্ত ও জল কখনও একসঙ্গে বইতে পারে না’, সোমবার স্পষ্ট ভাষায় নরেন্দ্র মোদি বুঝিয়ে দিলেন সিন্ধুর একফোঁটা জল পাবে না পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, মোদির আরও বার্তা ‘সন্ত্রাস ও বাণিজ্য’, ‘সন্ত্রাস ও আলোচনা’ কখনও একসঙ্গে চলতে পারে না।
পহেলগাঁয়ে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য ও দুই দেশের সংঘর্ষবিরতি প্রসঙ্গে সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই পাকিস্তান ও সন্ত্রাস কীভাবে সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে তার ব্যাখ্যা করে কড়া সুরে মোদি বলেন, “সন্ত্রাস ও আলোচনা কখনও একসঙ্গে চলতে পারে না। একইভাবে সন্ত্রাস ও বাণিজ্য এবং রক্ত ও জল একসঙ্গে বইবে না।” পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত রকম বাণিজ্য বন্ধ করেছে সরকার। স্থগিত হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। বর্তমান সংঘর্ষবিরতিতে পাকিস্তান আশা করছিল ভারতের সঙ্গে আলোচনায় এই স্থগিতাদেশ হয়তো তুলে নেবে মোদি সরকার। তবে ‘রক্ত ও জল একসঙ্গে বইবে না’ বলে যে বার্তা মোদি দিলেন, তাতে স্পষ্ট যে সিন্ধু জলচুক্তি থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে পুরোপুরি তালা এঁটে দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
শুধু তাই নয় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার যে বার্তা ভারতকে গোটা বিশ্ব দিচ্ছে সে প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “বিশ্বকে বলব, পাকিস্তানের সঙ্গে যদি কোনও কথা হয়, তাহলে সেটা হবে সন্ত্রাস বন্ধ নিয়ে। কথা যদি হয় তবে তা হবে শুধুমাত্র পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই।” একইসঙ্গে দুই দেশের যুদ্ধ প্রসঙ্গে নিজের অতীতের বক্তব্য তুলে ধরে মোদি আরও বলেন, “এই সময় যেমন যুদ্ধের নয়, তেমনই এই সময় সন্ত্রাসবাদেরও নয়।” কোনওরকম সন্ত্রাসবাদের মুখের উপর জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত।
অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল জঙ্গিরা। এই ঘটনার পর সন্ত্রাসবাদকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলাম। এখন সবাই জেনে গিয়েছে আমাদের মা-বোনের সিঁদুর মুছে ফেলার ফল কী। অপারেশন সিঁদুর আমার মা বোনেদের ন্যায় দিয়েছে। ভারত যে তার জবাবে এমন প্রচণ্ড আঘাত হানতে পারে জঙ্গিরা তা স্বপ্নেও ভাবেনি। পাকিস্তানের সন্ত্রাসের আড্ডায় ভারতের মিসাইল, ড্রোন হামলা শুধু সন্ত্রাসের ইমারত নয়, ওদের সাহস গুড়িয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছেছিল তাই ভারত সন্ত্রাসের হেড কোয়ার্টার গুঁড়িয়েছে। ১০০-র বেশি জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।”