‘যোগ্যরা দায় নেবে কেন?’, সরকারি নির্দেশিকা না পাওয়া পর্যন্ত স্কুলে আসবেন বারুইপুরের দুই শিক্ষিকা

‘যোগ্যরা দায় নেবে কেন?’, সরকারি নির্দেশিকা না পাওয়া পর্যন্ত স্কুলে আসবেন বারুইপুরের দুই শিক্ষিকা

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কলমের এক খোঁচায় চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেলই বাতিল করেছে। রাতারাতি চাকরি হারিয়ে বিপাকে ‘যোগ্য়’রা। তালিকায় ‘যোগ্য’ ও ‘অযোগ্য’ রয়েছে সে কথা এক বাক্যে মানছেন সকলে। তবে কিছু ‘অযোগ্য’দের জন্য সবাই কেন ভুগবেন। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ‘সুপ্রিম’ রায়ে চাকরি গিয়েছে বারুইপুরের সীতাকুণ্ডু বিদ্যায়তন বিদ্যালয়ের জীববিদ্যা ও অংঙ্কের শিক্ষিকার। তবে দুই শিক্ষিকা দেবশ্রী সাহা ও অঙ্কিতা ধর জানিয়েছেন, সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি না করা পর্যন্ত তাঁরা স্কুলে আসবেন। ‘অযোগ্য’দের ফল কেন তাঁরা ভুগবেন তুলেছেন সেই প্রশ্নও। এই বিদ্যালয়ের একসঙ্গে ছয় জনের চাকরি গিয়েছে। তাঁর মধ্যে তিনজন শিক্ষক ও তিনজন শিক্ষিকা।

জীববিদ্যার শিক্ষিকা দেবশ্রী সাহা উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা। তাঁর স্বামীও চাকরি হারিয়েছেন। বাড়িতে সন্তান, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি সকলে রয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই ছেলে-মেয়ের উপর নির্ভরশীল। চাকরি হারানোর পর তাঁদের সংসার চলবে কী করে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। দেবশ্রী বলেন, “আমি এবং আমার স্বামী দু’জনেই একই প্যানেলে চাকরি পাই। আমাদের দু’জনেরই চাকরি গিয়েছে। আদালত রায় দিলেও রাজ্য সরকার এখন কী সিদ্ধান্ত নেয় সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছি। তারপরই সিদ্ধান্ত নেব।”

একই কথা জানাচ্ছেন দেড় বছরের সন্তানের মা, ওই বিদ্য়ালয়ের অঙ্কের শিক্ষিকা অঙ্কিতা ধর। সরকারি নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত তিনিও স্কুলে আসবেন জানিয়ে বলেন, “যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করা গেল না তার দায় যোগ্যরা কেন নেবে। আমরা তো কোনও দোষ করিনি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *