সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগীরাজ্যে চলন্ত গাড়িতে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে তার বান্ধবীকে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। গত মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। রবিবার বিষয়টি সামনে আসে।
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে সন্দীপ এবং অমিত নয়ডার বাসিন্দা। আর এক অভিযুক্ত গৌরব গাজিয়াবাদের বাসিন্দা। অভিযুক্তদের কাছ থেকে দু’টি পিস্তল এবং বেশ কিছু কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
নির্যাতিতার কথায়, তারা দুই বান্ধবী গ্রেটার নয়ড়া থেকে লখনউ যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। সেই সময় একটি গাড়িতে থাকা তিনজন তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। তারাও গাড়িতে চেপে পড়ে। নাবালিকার অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরেই অভিযুক্তরা মদ্যপান করতে শুরু করে। তাদের দুই বান্ধবীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের জোরাজুরি করতে শুরু করে ওই তিনজন। বাধা দিতে গেলে তার বান্ধবীকে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপরই তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে।
নাবালিকার কথায়, খুরজার কাছে গাড়ি পৌঁছাতেই সে লাফ দেয়। কোনোক্রমে পুলিশের কাছে পৌঁছে পুরো ঘটনার জানায়। এরপর পুলিশ আলিগড়-বুলন্দশহর হাইওয়েতে গাড়িটিকে আটকায়। একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেললেও, বাকি দুই অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করে। এর পরই গুলি চালায় পুলিশ। দুই অভিযুক্তের পায়ে গুলি লাগলে তাদেরও ধরে পেলে পুলিশ।
গত বুধবার অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে খুরজা থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকা নির্যাতিতা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ভারতীয় ন্যয় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।